OSI মডেল | শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত | পর্ব ৯.২

By | April 2, 2023
Advertisment

ইউনিট ৯: নেটওয়ার্কিং অধ্যায়ের আজকের পর্বে আপনাদের সকলকে স্বাগতম। এটি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন এর কম্পিউটার সাইন্স বিষয়ের লিখিত ৯ম অধ্যায়ের ২য় অংশ। আজকের মূল বিষয় OSI মডেল। এক নজরে এই অংশের সিলেবাসটা দেখে নেয়া যাক।

OSI মডেল সিলেবাস
OSI মডেল সিলেবাস

OSI মডেল কী?

Open source interconnect (OSI) কর্তৃক নির্ধারিত কমিউনিকেশন ব্যবস্থার নাম হলো OSI মডেল. নেটওয়ার্কিং ডিভাইসের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়াতে একেক কোম্পানি নিজের মতো হার্ডওয়্যার বানাতে শুরু করলো যার ফলে এক কোম্পানির ডিভাইস অন্য কোম্পানির ডিভাইসের সাথে ব্যবহার করা যেত না। তখন বিভিন্ন প্রস্তুতকারক কর্তৃক প্রস্তুতকৃত বিভিন্ন হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এর সামগ্রিক সংগতি বিধানের লক্ষ্যে international standard organization (iso), OSI model উন্নয়ন করে বা ডেভেলপ করে।

OSI মডেল ৭টি লেয়ারে বিভক্ত:

  1. Physical layer
  2. Data link layer
  3. Network layer
  4. Transport layer
  5. Session layer
  6. Presentation layer
  7. Application layer

প্রথম ৪টি লেয়ার হোস্ট লেয়ার এবং পরের ৩টি লেয়ার হলো মিডিয়া লেয়ার। নিম্নে এদের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হলো:

i) physical layer: osi model এর সর্বনিম্ন স্তরের নাম হলো physical layer. এই লেয়ার ঠিক করে কোন পদ্ধতিতে এক ডিভাইসের সাথে আরেক ডিভাইসে সিগন্যাল ট্রান্সমিট হবে, ইলেকট্রিক সিগন্যাগ বা ডাটা বিট ফরম্যাট কি হবে ইত্যাদি। এই লেয়ারে ডাটা বিট টু বিট ট্রান্সফার হয়ে থাকে। এই লেয়ারে ব্যবহিত ডিভাইস গুলো হলো হাব, সুইজ ইত্যাদি।

ii) data link layer: এটি osi model এর দ্বিতীয় লেয়ার। এই লেয়ারের কাজ হলো physical layer এর মাধ্যমে এক device থেকে অন্য device এ তথ্য বা ডাটা ত্রুটিমুক্তভাবে প্রেরণ করা। এই লেয়ার দুটি ডিভাইসের মধ্যে লজিক্যাল লিংক তৈরি করে। এই লেয়ার ডাটাকে ফ্রেমে পরিবর্তন করে।

iii) network layer: নেটওয়ার্ক লেয়ারের কাজ হলো অ্যাড্রেসিং এবং প্যাকেট ডেলিভারি। এই লেয়ারে ডাটা প্যাকেটে নেটওয়ার্ক address যোগ করে encapsulation এর মাধ্যমে। এই লেয়ারে রাউটার ব্যবহৃত হয়ে থাকে এবং রাউটিং টেবিল তৈরি করে থাকে।

iv) transport layer: osi model এর চতুর্থ লেয়ার হলো transport layer. এই লেয়ারের কাজ হলো সেশন লেয়ারের কাছ থেকে পাওয়া ডাটা বা তথ্য নির্ভরযোগ্যভাবে অন্য ডিভাইসে পৌছানো নিশ্চিত করা। data পৌছানোর জন্য দুই ধরণের  transmission রয়েছে।

  1. Connection oriented – প্রেরণের আগে acknowledge signal এর মাধ্যমে
  2. Connectionless – acknowledge signal ছাড়া

v) Session layer: session layer এর কাজ হলো sender ও receiver device এর মধ্যে সংযোগ গড়ে তোলা, সংযোগ নিয়ন্ত্রণ করা এবং প্রয়োজন শেষে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা। এই কন্ট্রোল বা সংযোগ ৩ ধরণের হয়:

  1. Simplex: data একদিকে প্রবাহিত হয়
  2. Half duplex: একদিকের data প্রবাহ শেষে অপরদিকে প্রবাহিত হয়
  3. Full duplex: একইসাথে উভয়দিকে data প্রবাহিত হয়

vi) presentation layer: এই লেয়ার নেটওয়ার্ক সার্ভিসের জন্য ডাটা ট্রান্সলেটর হিসেবে কাজ করে। এই লেয়ার যে কাজগুলো করে থাকে তা হলো ডাটা কনভার্সন, ডাটা কমপ্রেশন, ডিক্রিপশন ইত্যাদি। এই লেয়ারে ব্যবহৃত ফরম্যাট হলো jpg, mpeg ইত্যাদি।

vii) application layer: এটি osi model এর সপ্তম লেয়ার। এই লেয়ার ইন্টারফেস প্রদান করে এবং নেটওয়ার্ক ডাটা প্রসেস করে। এই লেয়ারে যে কাজগুলো হয় তা হলো রিসোর্স শেয়ার, রিমোট ফাইল অ্যাকসেস, ডিরেক্টরি সার্ভিস ইত্যাদি।

Parallel and Distributed Computer Systems

Parallel Computer System

একটি কম্পিউটারে একাধিক প্রসেসর ব্যবহার করা হলে তাকে বলা হয় প্যারালাল কম্পিউটার সিস্টেম। এতে প্রসেসরগুলো একই সাথে কাজ করে থাকে। এই সিস্টেমে প্রসেসরগুলো একই সাথে অর্থাৎ Parallely কাজ করতে পারে বিধায় এর নাম হলো প্যারালাল কম্পিউটার সিস্টেম। এটি মূলত হার্ডওয়্যার নির্ভর সিস্টেম যেখানে আলাদা আলাদা প্রসেসর একই কাজ একসাথে কম সময়ে করতে পারে।

উদাহরণ: মাল্টি কোর কম্পিউটিং

সুবিধা: ১। পারফরমেন্স/আউটপুট ভালো পাওয়া যায়

২। ল্যাটেন্সি কম

অসুবিধা: ১। শক্তিশালী হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার প্রয়োজন

Distributed Computer System

একাধিক কম্পিউটার একটি নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হয়ে একটি নির্দিষ্ট কাজ করলে তাকে বলা হয় ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটার সিস্টেম। এই সিস্টেমে যে সকল কম্পিউটার সংযুক্ত থাকে তাদের বলা হয় নোড (node). এই সিস্টেমের প্রতিটি কম্পিউটার বা নোড এর আলাদা আলাদা প্রোসেসর এবং মেমরি থাকে। কোন একটি কাজ করার সময় উক্ত কাজকে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করে নোডগুলোর মধ্যে ডিস্ট্রিবিউট করে দেয়া হয় বলে এর নাম ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটার সিস্টেম।

উদাহরণ: অনলাইন ব্যাংকিং, ই-টিকিট সিস্টেম

সুবিধা: ১। কাজ করা সহজ

২। একই সাথে একাধিক কোর/মাল্টি কোর কাজ করে

অসুবিধা: 

১। সিস্টেম সেটাপ কঠিন

সিকিউরিটি

নেটওয়ার্কিং এ সিকিউরিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তথ্য একস্থান থেকে অন্যস্থানে পাঠানোর সময় শুধুমাত্র প্রেরক এবং প্রাপক ছাড়া অন্য কেউ যেন উক্ত তথ্য দেখতে না পারে অথবা এক্সেস না করতে পারে সেই বিষয় নিশ্চিত করা হয় সিকিউরিটির মাধ্যমে। সিকিউরিটির বেশ কিছু ধাপ রয়েছে। যেমন ক্রিপ্টোগ্রাফি, এনক্রিপশন, ডিক্রিপশন ইত্যাদি।

Threats and Attacks

নেটওয়ার্কিংয়ে Threats and Attacks বলতে বোঝায় যার মাধ্যমে একটি নেটওয়ার্কের মধ্যে আনঅথরাইজ এক্সেস নিয়ে নেটওয়ার্কের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটানো অথবা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করা। বিভিন্ন ধরণের Threats and Attacks:

  • Phishing
  • MITM (Man in the middle attacks)
  • DOS (Denial of Service)
  • Malware Attack
  • Password Attack
  • Physical Attack

Threats and Attacks থেকে পরিত্রাণের উপায়:

  • ফায়ারওয়াল
  • এন্টিভাইরাস
  • ডিটেকশন
  • এক্সেস কন্ট্রোল

Malware

ম্যালওয়্যার (Malware) হলো একটি ক্ষতিকর সফটওয়্যার যার মাধ্যমে একটি কম্পিউটার সিস্টেম অথবা নেটওয়ার্কের ক্ষতি সাধন করা হয়। এটি কোন সিস্টেমে ঢুকলে স্বতন্ত্রভাবে কাজ করতে থাকে এবং কম্পিউটারের তথ্য চুরি করে অথবা নষ্ট অথবা উভয়ই করতে পারে। যেভাবে প্রবেশ করে: ইমেইল সংযুক্তি, অরক্ষিত ওয়েবসাইট ভিজিট, ক্র্যাক সফটওয়্যার ডাউনলোড ইত্যাদি। উদাহরণ: ভাইরাস, উওরমস (worms), র‌্যানসমওয়্যার, ট্রোজান ইত্যাদি। 

Advertisment
Facebook Comments