কারিগরি MPO আবেদন পদ্ধতি
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও স্কুল অ্যান্ড কলেজ) শিক্ষক নিবন্ধন ও নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের নাম NTRCA যার পূর্ণাঙ্গরূপ হলো Non-Government Teachers’ Registration and Certification Authority. শিক্ষক নিয়োগ হয়ে থাকে গণবিজ্ঞপ্তি অথবা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে। তবে যারা এ বিষয়ে যুক্ত আছেন বা ধারণা রাখেন তারা অবশ্যই জেনে থাকবেন যে নিয়োগের পর এবং বেতন প্রাপ্তির আগে আরও একটি ধাপ আছে। এই ধাপটি হলো MPO (এমপিও) আবেদন। MPO এর পূর্ণাঙ্গরুপ হলো Monthly Pay Order. এটি সম্পন্ন না হলে শিক্ষকের বেতন হয় না। আজকে এমপিও আবেদন বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
আরও বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে আজকে আলোচনা করা হবে কারিগরি MPO আবেদন পদ্ধতি নিয়ে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকটি শাখা বা উইং রয়েছে যার মাধ্যম শিক্ষা সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। যেমন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) যেটি শিক্ষা ক্ষেত্রের জেনারেল লাইন নামেও পরিচিত। আরও রয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর যার মাধ্যমে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের মাদ্রাসা শিক্ষা প্রদান করা হয়। এবং রয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর যেটা বাকাশিবো অথবা টেকনিকাল অথবা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি (বিএমটি) নামেও পরিচিত। কারিগরি MPO আবেদন পদ্ধতির একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখানো হবে।
কারিগরি MPO আবেদন করার সকল নির্দেশনা কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে যার ঠিকানা http://www.techedu.gov.bd অথবা গুগলে সার্চ করলেও প্রথমে পাওয়া যাবে। এই ওয়েবসাইটের হোমপেজেই কারিগরি MPO আবেদন পদ্ধতি সহজীকরণের জন্য এমপিও আবেদন মেনু রয়েছে। এখানে নোটিশ, এমপিও নীতিমালা, চেকলিস্ট ও এমপিও ফরম রয়েছে। এর মধ্যে নীতিমালা চেকলিস্ট ও ফরমসমূহ ডাউনলোড করে নিতে হবে।
কারিগরি MPO আবেদন চেকলিস্ট
চেকলিস্ট ক্লিক করলে দেখা যাবে ৩৩ নম্বর সিরিয়াল সহ মোট ৩৪ টি তথ্যের একটি বিশাল চেকলিস্ট আছে। এর মধ্যে তথ্য দিতে হবে এবং কিছু তথ্য প্রযোজ্য নয়। নিম্নে আমরা একে একে সকল বিষয় দেখবো।
বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ (২৩ নভেম্বর, ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) অনুসারে এমপিও প্রাপ্তির জন্য নিম্ন বর্ণিত কাগজপত্রাদি জমা দিতে হবে। অসম্পূর্ণ আবেদন গ্রহণ করা হবে না। ক্রমিক অনুসারে কাগজপত্রাদি অবশ্যই আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রের বিবরণ ও উদাহরণ দেয়া হলো:
১। আঞ্চলিক পরিচালকের মতামত সহ অগ্রহায়ন পত্র
যদিও বা এটির সিরিয়াল নম্বর এক তবে বাস্তবে এই বিষয়ের কাজ হবে সবার শেষে অর্থাৎ আবেদন আঞ্চলিক অফিসের প্রেরণ করার পরে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক পরিচালক মহোদয় তার মতামত সহ অগ্রহায়ণ পত্র দেবেন। এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে হলে প্রথমে আমাদের ক্রমিক নম্বর দুই এর বিষয়ে জানতে হবে।
২। সভাপতি ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের মতামত সহ অগ্রহায়ণ পত্র
এমপিও আবেদনে যে সকল কাগজপত্রাদি প্রেরণ করার নির্দেশনা রয়েছে সেই সকল কাগজপত্রাদি সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী প্রস্তুত করে সভাপতি ও প্রতিষ্ঠান প্রধান একটি ফরওয়ার্ডিং অথবা মতামত সহ অগ্রহায়ণপত্র প্রেরণ করবেন। উক্ত পত্রটি প্রেরণ করতে হবে আবেদনটি যেই জেলা থেকে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় পরিচালক মহোদয়ের মাধ্যমে। মূল আবেদনের প্রাপক পরিচালক কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর হলেও মাধ্যম থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক পরিচালক। যতগুলো শিক্ষা বোর্ড রয়েছে প্রতিটি বিভাগের একজন করে আঞ্চলিক পরিচালক আছেন।। তবে প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকলে ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক এর কার্যালয় এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর একই ভবনে অবস্থিত।
৩। এমপিও ভুক্তি সংক্রান্ত মূল আবেদন ফরম
বর্ণিত ফরটি কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের এমপিও ফর্ম সেকশনে পাওয়া যাবে। এটি একটি ওয়ার্ড ডকুমেন্ট ফাইল যেখানে আবেদনকারী তার তথ্য কম্পিউটারের মাধ্যমে খুব সহজে পূরণ করতে পারবেন। এই অংশে প্রার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত কিছু তথ্য আছে।
৪। শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিও ভুক্তির আবেদনের সংক্ষিপ্ত তথ্যের হার্ড ও সফট কপি
যদিও ওয়েবসাইটে এই ফর্মটি আমার নজরে আসেনি তবে পূর্বে যারা আবেদন করেছেন তাদের সাথে যোগাযোগ করলে এই ফর্মটি পাওয়া যায়। এই ফর্মে ক্রমিক নম্বর তিনে উল্লিখিত তথ্যের সংক্ষিপ্ত রয়েছে। এতে নির্ধারিত ফর্মে কিছু তথ্য পূরণ করতে হয়
৫। কমপক্ষে একটি জাতীয় দৈনিক ও একটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রচারিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মূল কপি
এই অংশটি এনটিআরসিএ নিয়োগে প্রযোজ্য নয়। এনটিআরসিএ নিয়োগে প্রয়োজন হয় গণবিজ্ঞপ্তির কপি। যেটি নিম্নে দেয়া আছে।
৬। নিয়োগ সংক্রান্ত সকল রেজুলেশন
গণবিজ্ঞাপন্থটির চূড়ান্ত ফলাফলের পর নিয়োগপত্র প্রদান পর্যন্ত সাধারণত দুটি রেজুলেশন হয়ে থাকে। তার মধ্যে একটি হল যোগদান পত্রের প্রাপ্তির আবেদন গৃহীত এবং যোগদান পত্র অনুমোদন। উক্ত দুইটি রেজুলেশন প্রস্তুত রাখতে হবে।
৭। নিয়োগ পরীক্ষার মূল ফলাফল শীট
এনটিআরসিএ নিয়োগের ক্ষেত্রে এই অংশটি প্রযোজ্য নয় কারণ এনটিআরসিএ নিয়োগে প্রতিষ্ঠানে কোন নিয়োগ পরীক্ষা হয় না
৮। এনটিআরসি এ কর্তৃক নিয়োগের ক্ষেত্রে গণবিজ্ঞপ্তি সহ নিয়োগ সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র
ক) গণ বিজ্ঞপ্তি
NTRCA নিয়োগ একটি গণ বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে হয়ে থাকে। উক্ত গণবিজ্ঞপ্তি এনটিআরসিএ ওয়েবসাইট এবং বিভিন্ন জাতীয় পর্যায়ের পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়ে থাকে। ভবিষ্যৎ প্রয়োজনের জন্য সকল আবেদনকারীর উচিত উক্ত পত্রিকার বেশ কয়েকটি কপি সংরক্ষণ করে রাখা। এছাড়াও উক্ত নোটিশের পিডিএফ কপি ইমেইল অথবা গুগল ড্রাইভ অথবা যে কোন ক্লাউড বেস্ট সার্ভারে সংরক্ষণ করে রাখা। এমপিও আবেদনে মনোবিজ্ঞপ্তির কপি প্রেরণ করার নির্দেশনা রয়েছে।
খ) ই রিকুইজিশন
প্রতিটি গণবিজ্ঞপ্তির আগে সারাদেশের সকল প্রতিষ্ঠান থেকে শূন্য পদের তালিকা গ্রহণের নিমিত্ত এ রিকুইজিশন করা হয়। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানসমূহ এনটিআরসি এর অফিসে শিক্ষকের চাহিদা প্রেরণ করে থাকেন। বর্তমানে এটি অনলাইনে করা হয় যার জন্য এটিকে ই রিকুইজিশন বলা হয়। ই রিকুইজিশন কপিটি প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করতে হবে
গ) মেধা তালিকা
প্রতিটি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা সম্পন্ন হবার পর মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। উক্ত মেধা তালিকা ngi ওয়েবসাইটে হালনাগাদ করা থাকে। আপনি যেই তালিকায় রয়েছেন তালিকার যত নম্বর সিরিয়ালে রয়েছেন শুধুমাত্র সেই টেস্টটি ফটোকপি করে দিবেন।
ঘ) নিয়োগ কনফার্মেশন পত্র
একটি নিয়োগ কনফার্মেশন করার বেশ কয়েকটি প্রমাণক রয়েছে। যেমন পাবলিক রেজাল্ট। উক্ত রেজাল্টের কপি প্রেরণ করতে হবে। এছাড়াও এর সাথে রিকমেন্ডেশন লেটার প্রেরণ করা যেতে পারে। প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে রিকমেন্ডেড ক্যান্ডিডেট নামক অপশন থেকে একটি ডকুমেন্ট পাওয়া যায় । চাইলে এই ডকুমেন্ট প্রেরণ করতে পারেন।
ঙ) পদের ধরন এমপিও/নন এমপিও
বর্তমানে নন এমপিও পদে শিক্ষক নিয়োগ হয় না। তাই সকল পদে এমপিও ভুক্ত। এ রিকুইজিশন কপিতে এই বিষয়টি উল্লেখ করা রয়েছে।
৯। প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সনদপত্র প্রতিষ্ঠান প্রধানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ভেরিফিকেশন সহ। ভেরিফাইড সনদের ফটোকপি প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক অবশ্যই সত্যায়িত হতে হবে।
ক্রমিক নং তিনে উল্লেখিত এমপিও ভুক্তি সংক্রান্ত মূল আবেদন ফরমে প্রার্থীর যে সকল শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করা আছে উক্ত সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের ভেরিফিকেশন করা ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে হবে। এক্ষেত্রে এসএসসি পর্যায়ের সনদ সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাওয়া যাবে। এইচ এস সি পরীক্ষার সনদ একই প্রক্রিয়ায় ভেরিফাই করা হয়। অনার্স বা ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় অথবা কলেজ অথবা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যেটি প্রযোজ্য হবে তার মাধ্যমে ভেরিফাই করতে হবে। এই ভেরিফিকেশন প্রসেস কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।
১০। নিয়োগপত্র
গণ বিজ্ঞপ্তিতে চূড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে যেই পত্রের মাধ্যমে প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদান করা হয় সেই নিয়োগ পত্রটি প্রেরণ করতে হবে। এই নিয়োগ পত্রে প্রতিষ্ঠানের নাম লোগো সহ নিয়োগের বিভিন্ন বিষয়ে বলি প্রতিষ্ঠান প্রদান কর্তৃক স্বাক্ষরিত হয়ে থাকে।
১১। যোগদান পত্র
ক্রমিক নং ১০ এ উল্লিখিত নিয়োগ পত্রের আলোকে প্রার্থীগণ একটি পত্রের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন। উক্ত পত্রটি যোগদান পত্র নামে পরিচিত। এই যোগদান পত্রটি প্রেরণ করতে হবে।
১২। প্রতিষ্ঠানের ধরন সংক্রান্ত প্রত্যয়ন সংযুক্ত হলে কোন স্তরের সাথে সংযুক্ত প্রয়োজনে বাঁকাশিবোর প্রত্যায়ন সহ
একটি প্রতিষ্ঠান সরাসরি কারিগরি অথবা সংযুক্ত আকারে কারিগরি প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি কোন ভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং কত সাল থেকে পরিচালিত হচ্ছে সে বিষয়ে প্রতিষ্ঠান প্রদান কর্তৃক একটি প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহ করতে হবে। উক্ত প্রত্যয়ন পত্রে প্রতিষ্ঠানের ধরন উল্লেখ করা থাকে।
১৩। বাকাশিবো কর্তৃক গঠিত নিয়োগ বাছাই কমিটির পত্র
এনটিআরসিএ নিয়োগে এই তথ্য প্রযোজ্য নয়
১৪। ডিজির প্রতিনিধি মনোনয়ন পত্র
এনটিআরসি নিয়োগে এই তথ্য প্রযোজ্য নয়
১৫। প্রতিষ্ঠানের প্রথম ও শেষ এমপিও কপি
একটি প্রতিষ্ঠানের সর্বপ্রথম প্রাপ্ত এবং সর্বশেষ প্রাপ্ত এমপিও কপি প্রেরণ করতে হবে। প্রতিষ্ঠানটি পুরাতন হলে প্রথম এমপিও কপি, টাইপ রাইটার দিয়ে লেখা হয়ে থাকতে পারে। যেহেতু এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম এমপিও কপি প্রয়োজন হয় তাই এটি অফিস থেকে সংরক্ষণ করতে হবে। অফিস বলতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অফিস বোঝানো হয়েছে। তবে সর্বশেষ এমপি ও কপি অনলাইন থেকেও সংগ্রহ করা যায়।
১৬। ইনডেক্স ধারি শিক্ষক কর্মচারীর পূর্ববর্তী প্রতিষ্ঠান সমূহের সংশ্লিষ্ট শিক্ষক কর্মচারীর প্রথম ও শেষ এমপিও শিট
এনটিআরসিএ নিয়োগে এই তথ্য প্রযোজ্য নয়
১৭। নিবন্ধন সনদপত্র শিক্ষকের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ভেরিফিকেশন সহ। ভেরিফাইড সনদের ফটোকপি প্রতিষ্ঠান প্রদান কর্তৃক অবশ্যই সত্যায়িত হতে হবে
নিবন্ধন সনদ প্রদান এবং যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান এনটিআরসিএ। উক্ত প্রতিষ্ঠানে সনদ যাচাই করার জন্য প্রধান কর্তৃক স্বাক্ষরিত পত্র এনটিআরসিএ বরাবর প্রেরণ করলে সার্টিফিকেট যাচাই করে সনদ দেয়া হয়। ভেরিফাইড কপি এনটিআরসি ওয়েবসাইটের একটি সেকশন রয়েছে।
১৮। নিয়োগ কালীন ও হালনাগাদ ম্যানেজিং কমিটি অনুমোদন কপি (সংযুক্ত প্রতিষ্ঠান হলে বাকাশিবো প্রতিনিধি অনুমোদন সহ)
যখন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি কমিটি অনুমোদন করা হয় সেটি রেজুলেশনের মাধ্যমে অনুমোদন করা সহ অনলাইনেও অনুমোদন করতে হয়। যদি নিয়োগের সময় এবং পরবর্তীতে আবেদন প্রেরণের সময় কমিটি ভিন্ন হয়ে থাকে তবে উভয় কমিটির তথ্য প্রেরণ করতে হবে।
১৯। জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি
প্রার্থীর জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি প্রেরণ করতে হবে।
২০। ইনডেক্সধারীর বেলায় সর্বশেষ এমপি ও উত্তোলনের ব্যাংক প্রত্যয়ন পত্র
এই অংশটি শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই প্রযোজ্য যেখানে একজন শিক্ষক অন্য কোন প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যোগদান করছেন। নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে এই তথ্যটি প্রযোজ্য নয়
২১। ব্যাংক একাউন্ট খোলার প্রত্যয়ন পত্র
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাসিক বেতন অঞ্চলভেদে নির্ধারিত ব্যাঙ্কে প্রেরণ করা হয়। আবেদন প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠানটি যেই জেলায় রয়েছে উক্ত জেলায় যে ব্যাংকের মাধ্যমে বেতন হয়ে থাকে সেই ব্যাংকে নতুন আবেদন একাউন্ট খুলে ব্যাংক ম্যানেজার কর্তৃক একটি প্রত্যয়ন পত্র গ্রহণ করে উক্তপত্র প্রেরণ করতে হবে।
২২। প্রতিষ্ঠানের ভোকেশনাল/বিএম কৃষি ডিপ্লোমা/মৎস্য ডিপ্লোমা শাখা খোলার এমপিও ভুক্তির সরকারি আদেশ (জিও) ও সকল স্তরের শিক্ষক কর্মচারীদের তালিকা পৃথকভাবে
এখানে মূলত দুটি তথ্য যাওয়া হয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো শাখা খোলার এমপিওভক্তির সরকারি আদেশ জিও এবং সকল স্তরের শিক্ষক কর্মচারীদের তালিকা। ভিডিওতে যেই জিও সম্পর্কে বলা হয়েছে উক্ত পত্রটি অনেক পুরাতন হওয়ায় সেটি কেন করা সম্ভব হলো না। তবে নিম্নে শিক্ষক কর্মচারীদের তালিকা দেয়া হলো। খেয়াল রাখতে হবে প্রতিষ্ঠানটি যদি শুধুমাত্র কারিগরি হয় তাহলে কারিগরি বিভাগের শিক্ষা কর্মচারীদের তালিকা দিলেই হবে কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি যদি সংযুক্ত হয়ে থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সকল স্তরের শিক্ষক কর্মচারীদের তালিকা প্রেরণ করতে হবে।
২৩। বাকাশিবো কর্তৃক ট্রেড স্পেশালাইজেশন কোর্স খোলার অনুমতি পত্র ও স্বীকৃতি পত্র
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড সংক্ষেপে বাকাশিবো প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ট্রেড বা স্পেশালাইজেশন কোর্স খোলার অনুমতি ও স্বীকৃতি প্রদান করে থাকে। এই অংশে সেই পত্রটি দিতে হবে।
২৪। বাকাশিবো করতে ট্রেড স্পেশালাইজেশন কোর্স এফিলিয়েশন নবায়নের সর্বশেষ কপি
প্রতি দুই বা তিন বছর পর পর বাঁকাশিবো কর্তৃক ট্রেড স্পেশালাইজেশন কোর্স নবায়ন করতে হয়। উক্ত নবায়নের কপি অফিস থেকে সংগ্রহ করে প্রেরণ করতে হবে।
২৫। তথ্য ছক ফরম ১
২৬। বিশ কলাম ছক ফরম ২
২৭। শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের তথ্যাবলী ফর্ম ৩
২৮। বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক কর্মচারীদের নামের তালিকা ফরম ৪
উক্ত তথ্যটি প্রেরণ করার সময় নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সভাপতি প্রতি স্বাক্ষর থাকতে হবে
২৯। নবনিযুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের তথ্য ফরম ৫
যদি গণবিজ্ঞপ্তিতে একজন শিক্ষক নিয়োগ হয় তাহলে একজনের তথ্য এবং যদি একাধিক শিক্ষক নিয়োগ হয় তাহলে সকল শিক্ষকের তথ্য প্রেরণ করতে হবে
৩০। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্য বিবরণী ছক ফরম ৯
৩১। প্রতিষ্ঠানের স্পেশালাইজেশন বিষয়ভিত্তিক ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যার তালিকা ফরম ১০ বাকাশিবো রেজিস্ট্রেশন এর প্রমাণক
৩২। বিগত তিন বছরের বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল বাকাশিবো অনলাইন ফলাফলের প্রমাণক
৩৩। মামলা নেই মর্মে প্রত্যয়ন পত্র প্রতিষ্ঠান ম্যানেজিং কমিটি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা নেই মর্মে প্রত্যয়ন সভাপতি ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রতি স্বাক্ষর সহ
৩৪। প্রতিষ্ঠান প্রধানের সহস্তে লিখিত ৩০০ টাকার স্ট্যাম্প নিরূপণ প্রত্যয়ন পত্র
আমি এই মর্মে প্রত্যয়ন করছি যে এই আবেদনের সাথে সংযুক্ত সকল কাগজপত্র ঠিক আছে। কোন ভুয়া জাল অসত্য কাগজ সংযুক্ত করা হয় নাই। আবেদনকারীর সকল একাডেমিক সনদ প্রশিক্ষণ সনদ নিবন্ধন সনদ নিম্ন সাক্ষরকারী কর্তৃক ব্যক্তিগতভাবে বোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হতে যাচাইকৃত।
আরো প্রত্যয়ন করছি যে আবেদনকারীর আবেদন বিষয়ের প্রাপ্যতা রয়েছে। সংযুক্ত কোন কাগজপত্র ভুয়া জাল অসত্য প্রমাণিত হলে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ ২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত এর ২৮.৩ অনুচ্ছেদ অনুসারে নিম্নস্বাক্ষরকারএমপিও বাতিলযোগ্য হবে। এছাড়াও ভুয়া জাল অসত্য তথ্যের জন্য বিদ্যমান এমপিও নীতিমালা অনুসারে অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ সহ ফৌজদারী মামলা ও দায়ের করা যাবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য যে সকল কাগজপত্র মূল ফরওয়ার্ডিং এর সাথে সংযুক্ত আকারে যাবে সকল কাগজপত্রাদি প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক সত্যায়িত থাকতে হবে। অর্থাৎ এ পর্যন্ত যত ধরনের ডকুমেন্টের বর্ণনা দেয়া হয়েছে প্রতিটি ডকুমেন্টের ফটোকপি প্রেরণ করতে হবে এবং সকল পৃষ্ঠা প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক সত্যায়িত থাকতে হবে।
MPO আবেদন মঞ্জুর ও এমপিও প্রাপ্তি
এই সকল তথ্য পূরনপূর্বক যথাযথ মাধ্যমে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে প্রেরণ করা হলে নির্ধারিত সময়ে মিটিং হবার পর এমপিও আদেশ জারি হবে। যদি কোন তথ্য অসম্পূর্ণ থাকে তাহলে তথ্যটি পুনরায় প্রেরণ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে এমপিও পেতে বিলম্ব হতে পারে। এই পোস্ট করা পর্যন্ত কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে বকেয়া ব্যবস্থা চালু নেই। অর্থাৎ যখন থেকে এমপিও কার্যকর তখন থেকেই বেতন প্রাপ্ত হবেন। তাই সতর্কতার সাথে নির্ভুলভাবে সকল তথ্য সংগ্রহ করবো ডকুমেন্টসমূহ প্রেরণ করতে হবে।