কম্পিউটারের প্রকারভেদ NTRCA ICT স্কুল পর্যায় লিখিত পর্ব ৩

By | May 5, 2024

কম্পিউটারের প্রকারভেদ বা কম্পিউটারের শ্রেণিবিভাগ (Classification of Computers)

NTRCA বা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন এর স্কুল পর্যায়ে ICT বিষয়ে লিখিত পরীক্ষার সিরিজে আপনাদের সকলকে স্বাগতম। এই সিরিজে স্কুল পর্যায়ে শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার সকল কনটেন্ট আপলোড করা হবে। প্রতিটি পর্বের জন্য থাকছে ইউটিউব ভিডিও।

আজকের বিষয় হলো কম্পিউটারের প্রকারভেদ। অর্থাৎ প্রয়োগ ক্ষেত্রে ও কাজের ধরণ ও প্রকৃতির ভিত্তিতে কম্পিউটার কত প্রকার ও কী কী হয়ে থাকে সে বিষয়ে জানার চেষ্টা করবো।

স্কুল পর্যায়ে ICT লিখিত পরীক্ষার সকল পোস্ট দেখতে ক্লিক করুন এখানে।

কম্পিউটারের প্রকারভেদ

কম্পিউটারের প্রকারভেদ সাধারণত ২ (দুই) ধরণের উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে। একটি হলো প্রয়োগ ক্ষেত্রে ও অপরটি কাজের ধরণ ও প্রকৃতির ভিত্তিতে। তবে কম্পিউটারের প্রকারভেদ মনে রাখার জন্য একটি ডায়াগ্রাম আছে। এটি শিখতে পারলে সকল প্রকারের নাম সহজে মনে রাখা যায়।

মূলত কম্পিউটারের প্রকারভেদ ২ টি

  • প্রয়োগ ক্ষেত্রে
  • কাজের ধরণ ও প্রকৃতির ভিত্তিতে

প্রয়োগ ক্ষেত্রে কম্পিউটারকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়

  •  ১. সাধারণ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত কম্পিউটার
  •  ২. বিশেষ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত কম্পিউটার

নিম্নে আমরা সকল প্রকার কম্পিউটারের প্রকারভেদ এর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেখবো।

সাধারণ কম্পিউটার:  যে সমস্ত কম্পিউটার দ্বারা সব ধরনের কাজ করা যায় সেগুলোকে সাধারণ ব্যবহারের কম্পিউটার বলা হয়। বর্তমানে প্রচলিত মাইক্রো কম্পিউটার থেকে শুরু করে সুপার কম্পিউটার পর্যন্ত সকল কম্পিউটার সাধারণ কম্পিউটার।  এইসব কম্পিউটার দিয়ে একই সঙ্গে লেখালেখির কাজ চিত্রাংকন হিসাব নিকাশ জটিল প্রোগ্রামিং সহ অনেক রকমের কাজ করা যায়। 

বিশেষ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত কম্পিউটার:  যে সমস্ত কম্পিউটার বিশেষ ধরনের কাজ বা সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবহার করা হয় তাকে বিশেষ ব্যবহারের কম্পিউটার বলে।  এনালগ ও হাইব্রিড কম্পিউটার সুনির্দিষ্ট কাজের জন্য তৈরি ও ব্যবহৃত হয়।  এক ধরনের কাজে জন্য তৈরি এনালগ কম্পিউটার সাধারণত অন্য ধরনের কাজে ব্যবহার করা যায় না।  এজন্য এ ধরনের কম্পিউটার গুলোকে বলা হয় বিশেষ ব্যবহারের কম্পিউটার। 

কাজের ধরন ও প্রকৃতি ভিত্তিতে কম্পিউটার

গঠন অনুসারে বা পরিচালনার নীতি অথবা ক্রিয়া নীতি অনুসারে কম্পিউটার কে তিন ভাগে ভাগ করা যায়

  • ১. এনালগ কম্পিউটার
  • ২. ডিজিটাল কম্পিউটার
  • ৩. হাইব্রিড কম্পিউটার

এনালগ কম্পিউটার

বস্তুর গুণগত বা অবস্থানগত ভৌত পরিবর্তনের উপর নির্ভর করে যে কম্পিউটার তৈরি করা হয় তাকে অ্যানালক কম্পিউটার বলে।  এনালগ শব্দটি গ্রীক শব্দ এনালগ গাউজ থেকে এসেছে যার আভিধানিক অর্থ তুলনা করা বা সাদৃশ্য।  এনালগ পদ্ধতিতে কোন বর্ণ বা অংক ব্যবহার করা হয় না।  এক্ষেত্রে একটি ক্রমাগত পরিবর্তনশীল রাশিকে অন্য একটি ক্রমাগত পরিবর্তনশীল রাশির সাথে তুলনা করে পরিমাপ করা হয়।  পদার্থবিজ্ঞানের নীতির উপর ভিত্তি করে এনালগ কম্পিউটার কাজ করে।  ধরা হয়।  প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াকরণের পর ফলাফল সাধারণত প্রদর্শন করা হয়।  না এনালগ কম্পিউটারে কোন ধরনের মেমোরি ইউনিট ব্যবহার করা হয় না । 

এনালগ কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য সমূহ

  •  এনালগ কম্পিউটার পরিবর্তনশীল বৈদ্যুতিক সিগন্যাল দ্বারা পরিচালিত হয়
  •  এনালক কম্পিউটারের ইনপুট ও আউটপুট এনালক প্রকৃতির।  আউটপুট সাধারণত কাটা বা প্লাটারের মাধ্যমে প্রদান করা হয়
  •  এনালক কম্পিউটারের কাজের দক্ষতা ০.১%
  •  এক ধরনের কাজের জন্য তৈরি কৃত এনালক কম্পিউটার অন্য ধরনের কাজে ব্যবহার করা যায় না
  •  সাধারণত বিশেষ কোন কাজে জন্য ব্যবহার করা যায়
  •  পদার্থ বিজ্ঞানের নীতিতে কাজ করে
  •  উদাহরণ চার্লস ব্যাবেজ এর অ্যানালিটিকাল ইঞ্জিন ও ডিফারেন্স ইঞ্জিন

ব্যবহার

  •  মহাকাশ কৃত্রিম উপগ্রহ নির্মাণের কাজে
  •  কেমিক্যাল ল্যাবরেটরির মান নিয়ন্ত্রণে ও পেট্রোল পাম্পের তেল প্রবাহের পরিমাণ নির্ণয়
  •  বাতাসের চাপ তাপ বায়ু প্রবাহ বিদ্যুৎ তরঙ্গ শব্দ তরঙ্গ ইত্যাদি নির্ণয়ের ক্ষেত্রে

এনালগ কম্পিউটারের উদাহরণ: চার্লস ব্যাবেজের এনালিটিকাল ইঞ্জিন ও ডিফারেন্স ইঞ্জিন।

কম্পিউটারের প্রকারভেদ - এনালগ কম্পিউটার
এনালগ কম্পিউটার

ডিজিটাল কম্পিউটার

Digiral কম্পিউটারের Digital কথাটি ইংরেজি ডিজিট শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ অংক।  যে কম্পিউটার ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাইনারি সংখ্যা শুন্য এবং একের উপর ভিত্তি করে ডিজাইনও তৈরি করা হয়েছে তাকে ডিজিটাল কম্পিউটার বলে।  বাইনারি ডিজিট শুন্য ও একের সাহায্যে এই কম্পিউটার তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করে।  এর কাজের সূক্ষ্মতা অনেক বেশি কারণ যোগ বিয়োগ করার সময় দশমিকের পর অনেক বেশি ঘর পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।  সাধারণত কম্পিউটার বলতে ডিজিটাল কম্পিউটারকেই বোঝানো হয়।  না।  তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ও হিসাব নিকাশের জন্য  সংখ্যা ব্যবহার করা হয়। 

ডিজিটাল কম্পিউটারের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য সমূহ

  •  ডিজিটাল সিগনাল শূন্য ও এক ব্যবহার করে সব ধরনের কাজ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে
  • মেমোরিতে তথ্য বা উপাত্ত যুগ যুগ ধরে সংরক্ষণ করে রাখা যায়
  •  কোন তথ্য প্রক্রিয়াকরণের ফলাফল প্রিন্টারের মাধ্যমে অতি দ্রুত কাগজে ছাপানো যায়
  •  কাজের সূক্ষ্মতা 100%
  •  আধুনিক মানের ডিজিটাল কম্পিউটার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়
  •  ডিজিটাল কম্পিউটার একটি সংখ্যাগত ব্যবস্থা যা গণিতের নিয়মে কাজ করে
  •  বর্তমানের সকল কম্পিউটারই ডিজিটাল কম্পিউটার
  •  উদাহরণবুক ল্যাপটপ 

ব্যবহার

বর্তমানে ডিজিটাল কম্পিউটার ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে অফিস আদালত ব্যাংক বীমা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গবেষণাগার শিল্প প্রতিষ্ঠান খেলাধুলা ও বিনোদন ক্ষেত্রে

ডিজিটাল কম্পিউটারের উদাহরণ: পেন্টিয়াম সিরিজ, পামটপ, নোটবুক ইত্যাদি।

হাইব্রিড কম্পিউটার

এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের কার্যনীতির সমন্বয়ে যে কম্পিউটার তৈরি করা হয় তাকে হাইব্রিড কম্পিউটার বলে।  হাইব্রিড শব্দের অর্থ হচ্ছে শংকর বা সমন্বয়।  হাইব্রিড কম্পিউটারে এনালগ প্রক্রিয়ায় ডেটা গৃহীত হয়।  এরপর সংগৃহীত ডাটা সংখ্যায় রূপান্তর করে প্রক্রিয়াকরণের জন্য ডিজিটাল অংশে প্রেরণ করা হয়।  ডিজিটাল অংশ প্রাপ্ত ডেটা প্রক্রিয়াকরণ করে ফলাফল প্রদান করে। এই ফলাফল মনিটর বা অন্য কোন আউটপুট ডিভাইসে প্রদর্শিত হয়।  সাধারণত বৈজ্ঞানিক গবেষণাগার শিল্প প্রতিষ্ঠান যেখানে এনালগ ও ডিজিটাল উভয় ধরনের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকে সেখানে হাইব্রিড কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।  এছাড়া হাসপাতালের আইসিইউ রোগীর রক্তচাপ নির্ণয় শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে হাইব্রিড কম্পিউটার ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। 

 হাইব্রিড কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য সমূহ

  •  হাইব্রিড কম্পিউটারের ইমপোর্ট এনালগ পদ্ধতির এবং আউটপুট ডিজিটাল পদ্ধতি
  •  বিশেষ বিশেষ কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়
  •  তুলনামূলক দাম বেশি
  •  গঠন জটিল প্রকৃত
  •  উদাহরণ ইসিজি মেশিন এমআরআই মেশিন আধুনিক রাডার ইত্যাদি

 Hybrid কম্পিউটারের ব্যবহার

  •  বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি বিষয়ের বিভিন্ন জটিল ও কঠিন সমস্যা সমাধানে
  •  পরীক্ষাগারে ওষুধের মান নির্ণয় প্রাণী নিয়ে গবেষণায়, পরমাণুর গঠন প্রকৃতি জানার কাজে
  •  বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্যের গুণাগুণ নির্ণয়ের কাজে এবং দূর পাল্লার আকাশ জানচালকের প্রশিক্ষণের কাজে
  •  হাইব্রিড কম্পিউটার অত্যন্ত দামি তাই শুধুমাত্র বিশেষ কাজে ব্যবহৃত হয়
  •  হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটে ব্যবহৃত হয়

হাইব্রিড কম্পিউটারের উদাহরণ: ECG, MRI, Radar, Sonar এর কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার।

ডিজিটাল কম্পিউটার ৪ (চার) প্রকার হয়ে থাকে।

  • ১. মাইক্রো কম্পিউটার
  • ২. মিনি কম্পিউটার
  • ৩. মেইনফ্রেম কম্পিউটার
  • ৪. সুপার কম্পিউটার

মাইক্রো কম্পিউটার

যে কম্পিউটার মিনি কম্পিউটারের চেয়ে ছোট এবং যার মধ্যে কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশ হিসেবে মাইক্রোপ্রসেসর বিদ্যমান তাকে মাইক্রো কম্পিউটার বলে।  মাইক্রো শব্দের অর্থ ক্ষুদ্র।  ক্ষুদ্র কৃতির মাইক্রোপ্রসেসর দিয়ে তৈরি বলেই মাইক্রো কম্পিউটারের এরূপ নামকরণ করা হয়েছে। 

একাধিক বর্তনী একটি চিপে সংযুক্ত করা যায় বলে তাকে মাইক্রোপ্রসেসর বলে।  গঠন ও আকৃতিগত দিক থাকে মাইক্রো কম্পিউটার খুবই ছোট এবং গতীয় অন্যান্য কম্পিউটারের তুলনায় কম।  এ ধরনের কম্পিউটার সাধারণত একটি প্রধান প্রসেসর প্রধানমন্ত্রী সহায়ক মেমোরি এবং ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস দিয়ে তৈরি হয়।  1975 সালে তড়িৎ প্রকৌশলী এইচ এডোওয়ার্ড রবার্টস কর্তৃক ডিজাইনকৃত জিরো কে প্রথম মাইক্রোপ্রসেসর ভিত্তিক কম্পিউটার বা মাইক্রো কম্পিউটার হিসাবে গণ্য করা হয়।  আমেরিকার ইন্টেল কর্পোরেশন সর্বপ্রথম 1971 সালে ইন্টেল ফোর ডাবল জিরো ফোর নামে চার বিটের মাইক্রোপ্রসেসর তৈরি করে।  সেটির গতি ও কর্ম ক্ষমতা খুবই সীমিত ছিল।  বর্তমানে ব্যবহৃত মাইক্রো প্রসেসর গুলো অনেক বেশি গতি ও দক্ষতা সম্পন্ন।  আকারে ছোট দামে সস্তা ও গ্রহণযোগ্য হয় ব্যক্তিগত কাজে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।  এজন্য এটিকে পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি নামেও অভিহিত করা হয়। 

 উদাহরণ আইবিএম PC, TRS 80  ইত্যাদি। 

ব্যবহার:  এই ধরনের কম্পিউটার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কলকারখানা অফিস আদালত খেলাধুলা গৃহস্থালির কাজে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা হয়। 

বিভিন্ন রকম হতে পারে যেমন ডেস্কটপ কম্পিউটার ল্যাপটপ কম্পিউটার নোটবুক কম্পিউটার পাম্প কম্পিউটার

মিনি কম্পিউটার

 যে কম্পিউটার মাইক্রো কম্পিউটারের চেয়ে বড় এবং মেইনফ্রেম কম্পিউটারের চেয়ে ছোট তাকে মিনি কম্পিউটার বলে।  মিনি কম্পিউটারের গতি মেমোরি ও কাজ করার ক্ষমতা মাইক্রো কম্পিউটারের তুলনায় অনেক বেশি।  টার্মিনালের মাধ্যমে এটিতে একসঙ্গে একাধিক ব্যবহারকারী অনায়াসে কাজ করতে পারে।  এ ধরনের কম্পিউটারে প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহৃত সিপিইউতে সাধারণত একক বোর্ড বিশিষ্ট বিশিষ্ট সার্কিট বা বর্তনী ব্যবহার করা হয়।  মাইক্রো কম্পিউটারের তুলনায় অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে থাকে। 

উদাহরণ: IBM S34, IBM S36, PDP 11 ইত্যাদি 

মেইনফ্রেম কম্পিউটার

যে কম্পিউটারটি মিনি ও মাইক্রো কম্পিউটারের চেয়ে বড় এবং সুপার কম্পিউটারের চেয়ে ছোট কিন্তু স্বল্প সময় অধিক কাজ করতে সক্ষম তাকে মেইনফ্রেম কম্পিউটার বলে।  এজাতীয় কম্পিউটারের অনেকগুলো ইনপুট ও আউটপুট যন্ত্র এবং সহায়ক স্মৃতির সংখ্যা থাকে।  মেইন ফ্রেম হচ্ছে এমন একটি বড় কম্পিউটার যার সাথে টার্মিনাল যুক্ত করে একসাথে অনেক মানুষ কাজ করতে পারে।  এ কম্পিউটারে একাধিক তথ্য প্রক্রিয়াকরণ অংশ থাকে।  বড় বড় প্রতিষ্ঠান এই ধরনের কম্পিউটার ব্যবহার করে।  প্রতিষ্ঠান এবং বৈজ্ঞানিক কর্মতৎ পরিচালনা নিয়ন্ত্রণ ও বিশ্লেষণ এবং মূল্যায়নের জন্য কম্পিউটার প্রয়োজন হয়ে থাকে।  বাংলাদেশের সর্বপ্রথম মেইন ফ্রেম কম্পিউটার স্থাপন করে বাংলাদেশ বড় মানুষ কমিশন।  এরপরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের স্থাপিত হয়। 

উদাহরণ: UNIVAC 1100, IBM 1620, IBM 4341

সুপার কম্পিউটার

 যে কম্পিউটার আকার আকৃতির দিক থেকে অন্যান্য কম্পিউটারের চেয়ে অত্যাধিক বড় এবং শক্তিশালী এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন তাকে সুপার কম্পিউটার বলে।  আকৃতিগত দিক থেকে সর্ববৃহৎ এই কম্পিউটার গুলোর তথ্য সংরক্ষণ ক্ষমতা তথ্য প্রক্রিয়াকরণের গতি অবিশ্বাস্য রকমের।  সুপার কম্পিউটারের সাহায্যে অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও জটিল বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের কাজ করা যায়।  বর্তমানে সুপার কম্পিউটার গুলোতে একসঙ্গে একাধিক প্রসেসর ব্যবহার করা হয়।  সূক্ষ্ম বৈজ্ঞানিক গবেষণা বিপুল পরিমাণ তথ্য বিশ্লেষণ নব যান জঙ্গি বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ মহাকাশ গবেষণা পরমাণু গবেষণা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সুপার কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। 

উদাহরণ ETA 02P,  super SX 11,  cyber 205

তো এরই সাথে শেষ হলো আজকের কম্পিউটারের প্রকারভেদ সংক্রান্ত আলোচনা। পরবর্তী পোস্ট শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে। আপডেট পেতে iSudip YouTube Channel ইউটিউব চ্যানেল এবং iSudip Facebook Page এর সাথে কানেক্ট থাকতে পারেন।

Facebook Comments