ই-গভর্নেন্স, ইউনিকোড, আইসিটি ও ই-বিজনেস | পর্ব ৮.৩ | শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত ICT

By | March 3, 2023

ইউনিট ৮ এর ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট অধ্যায়ের আজকের পর্বে আপনাদের সকলকে স্বাগতম। এটি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন এর কম্পিউটার সাইন্স বিষয়ের ৮ম অধ্যায়ের তৃতীয় অংশ। গত দুই পর্বে পর্বে ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট এবং ডাটাবেজ ও অন্যান্য বিষয়াবলী দেখানো হয়েছিলো। এই পর্বে ই-গভর্নেন্স, ইউনিকোড, আইসিটি, ট্রান্সলিটারেশন, ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ, আইটি ওয়ার্কফোর্স, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ ও ই-বিজনেস দেখানো হয়েছে। এই পর্বের সিলেবাসটা দেখে নেই:

ই-গভর্নেন্স ও অন্যান্য বিষয়াবলী
ই-গভর্নেন্স ও অন্যান্য বিষয়াবলী | iSudip

ই-গভর্নেন্স

তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর শাসন (ইংরেজি: Electronic governance ইলেকট্রনিক গভার্নেন্স বা e-governance) বলতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (মূলত ইন্টারনেট) ব্যবহার করে সরকারী সেবা, তথ্যের আদানপ্রদান, যোগাযোগমূলক লেনদেন তথা তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক সরকারি সেবা কে বোঝায়। সেবার ধরণসমূহ:

  • সরকার-থেকে-নাগরিক (government to citizen বা G2C) সেবা
  • সরকার-থেকে-ব্যবসা সেবা (government to business বা G2B)
  • সরকার-থেকে-সরকার সেবা (government to government G2G)
  • সরকার থেকে চাকুরীজীবী সেবা (government to employees বা G2E)

সুশাসন প্রতিষ্ঠার আধুনিক মাধ্যম হলো ইগভর্নেন্স। এই ব্যবস্থায় সরকারি সকল সেবা একসাথে একজন নাগরিক পেতে পারেন। এতে একজন সেবা প্রত্যাশী দিন রাত যে কোন সময় যে কোন স্থান থেকে সরকারি সেবা গ্রহণ করতে পারেন। ই-গভর্নেন্স চালু করার জন্য প্রয়োজন অর্থ, দক্ষ জনবল, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত এবং ইন্টারনেট সেবা। বর্তমানে যে সকল দেশকে আমরা আধুনিক হিসেবে গণ্য করি সেই সকল দেশ ই-গভর্নেন্স এর উপর নির্ভরশীল।

ই-গভর্নেন্সের লক্ষ্য ‍ও উদ্দেশ্য:

  • সরকারি তথ্য জনগণের নিকট পৌছানো
  • কম সময়ে এবং কম অর্থ ব্যয়ে সেবা প্রদান
  • সরকার ও জনগণের মধ্যে সহযোগিতাময় কাঠামো (Co operative structure) তৈরি করা
  • সরকারি কাজের স্বচ্ছতা বজায় রাখা
  • জবাবদিহিতামূলক সরকার গঠন করা
  • পেপারলেস বা কাগজবিহীন দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন করা

G2G, G2B, G2C

G2G (Government to Government): সরকারি সংস্থা বা অধিদপ্তরের মধ্যাকার যোগাযোগ।

G2C (Government to Citizen): সরকারের সাথে জনগণের মধ্যে যোগাযোগ। এই প্রক্রিয়ায় সরকারের কাজের উপর জনগণের মত প্রদানের সুযোগ থাকে।

G2B (Government to Business): সরকারের সাথে ব্যবসার সম্পর্ক তথা ব্যবসায়ীর সম্পর্ক।

Unicode

ইউনিকোড হলো international character encoding standard. বিশ্বে প্রচলিত বিভিন্ন ভাষাকে কম্পিউটার কোডভুক্ত করার মাধ্যম হলো ইউনিকোড। unicode এর উদ্ভব হয় ১৯৯১ সালে। এই উদ্ভাবনে কাজ করেন Apple এবং Xerox কর্পোরেশনের কম্পিউটার প্রকৌশলীগণ।

ইউনিকোড ব্যবহারের সুবিধাসমূহ:

  • ওয়েবসাইটে বাংলাসহ যে কোন ভাষা সঠিকভাবে প্রদর্শন করা
  • বিশ্বের সকল ভাষাকে কোডভুক্ত করা
  • একটি কোড থেকে অন্য কোডে লেখা পরিবর্তন করা

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি:

তথ্য প্রযুক্তি (Information Technology): তথ্য সংগ্রহ, তথ্যের সত্যতা ও বৈধতা যাচাই, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, আধুনিকীকরণ, পরিবহন, বিতরণ ও ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিকে তথ্য প্রযুক্তি বা Information Technology বলা হয়। The branch of technology concerned with the dissemination, processing and storage of the information especially by means of computers.

যোগাযোগ প্রযুক্তি (Communication Technology): তথ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থার (Data Communication) সাথে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিকে বলা হয় যোগাযোগ প্রযুক্তি (Communication Technology)

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (Information and Communication Technology): যে কোন প্রকারের তথ্যের উৎপত্তি, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, সঞ্চালন এবং বিচ্ছুরণে ব্যবহৃত সকল ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি কে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা Information and Communication Technology (ICT) বলে।

Issues in Transliteration and Natural Language Translation

Transliteration এর বাংলা অর্থ হলো বর্ণনান্তর বা লিপ্যন্তর। এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় বণ্যান্তর বা লিপ্যন্তরে যে সকল সমস্যা হতে পারে তা হলো:

  • ঐতিহ্য
  • ভাষার ধরণ/গঠন
  • সাংস্কৃতিক পার্থক্য
  • যৌগিক শব্দ
  • ক্রিয়ার দ্বৈত অর্থ

IT Workforce

তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর কর্মক্ষেত্রকে বলা হয় IT Workforce. এটি এমন একটা Environment যেখানে সকল কাজ প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে থাকে। IT Workforce এর ক্ষেত্রসমূহ:

  • যোগাযোগ Communication
  • গবেষণা RnD Research and Development
  • শিক্ষা Education
  • কর্মসংস্থান
  • স্বাস্থ্য
  • ব্যবসা বাণিজ্য/কেনাকাটা
  • বিনোদন
  • সংস্কৃতি

Concepts in Bridging the Digital Divide

Divide অর্থ ভাগ করা। Digital divide হলো জনসংখ্যার এবং আঞ্চলিক ভিত্তিতে তথ্যে প্রযুক্তির প্রাপ্তি (ICT Access) এর ভাগ। এখনও উন্নয়নশীল এবং দরিদ্র দেশের অনেক অঞ্চল রয়েছে যারা টেকনোলজির ছোঁয়া পায়নি তথা বিশ্বায়নের সাথে অগ্রগতিশীল হয়নি। এই যে একটা গ্যাপ তৈরি হয়েছে তাদের এবং আধুনিক বিশ্বের মধ্যে এটা হলো Digital Divide এবং এই ডিভাইডের সাথে আধুনিক বিশ্বের সংযুক্ত করার পদ্ধতি হলো Bridging. যার জন্য প্রয়োজন সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, উচ্চ গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট ব্যবস্থা এবং তথ্য এক্সেস করার জন্য আধুনিক ডিভাইস (মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ইত্যাদি)।

Public Private Partnerships (PPP)

PPP হলো সরকার এবং প্রাইভেট সেক্টরের মধ্যে এক প্রকার চুক্তি। এতে করে সরকার কোন সেবা সরকারি নিয়মতন্ত্রের মধ্যে রেখে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণকে প্রদান করতে পারে। এর মালিকানা থাকে সরকারের কাছে এবং এ ছাড়া অন্য সব কাজ করবে উক্ত প্রতিষ্ঠান। 

e-Business (B2B, B2C, B2A)

E-business হলো e commerce এর মাধ্যমে ব্যবসা। এতে করে ব্যবসায়িক সকল কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্ন করা হয় এবং একজন ভোক্তা (Consumer) ঘরে বসেই কেনাকাটা করতে পারেন।

  • B2B (Business to Business)
  • B2C (Business to Consumer)
  • B2A (Business to Authority)
Facebook Comments