ওয়েব এসেনশিয়াল | পর্ব ৮.৪ | শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত ICT

By | March 12, 2023

ইউনিট ৮ এর ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট অধ্যায়ের আজকের ওয়েব সংক্রান্ত পর্বে আপনাদের সকলকে স্বাগতম। এটি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন এর কম্পিউটার সাইন্স বিষয়ের ৮ম অধ্যায়ের ৪র্থ ও শেষ অংশ।

গত তিন পর্বে পর্বে ডাটাবেজ এবং ই-গভর্নেন্স ও অন্যান্য বিষয়াবলী দেখানো হয়েছিলো। এই পর্বে ওয়েব এসেনশিয়াল সংক্রান্ত বিষয়বস্তু দেখানো হয়েছে। এই পর্বের সিলেবাসটা দেখে নেই:

ওয়েব এসেনশিয়াল সিলেবাস
ওয়েব এসেনশিয়াল সিলেবাস

ওয়েব (Web)

কম্পিউটার বিজ্ঞানে ওয়েব (Web) ওয়েব বলতে বোঝায় World Wide Web (WWW) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ওয়েবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেই সকল তথ্য ব্রাউজারের মাধ্যমে এক্সেস করা যায় যা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন সার্ভারে রয়েছে।

URL (Uniform Resource Locator) (এক ধরণের Character String) এর মাধ্যমে ইন্টারনেটে থাকা তথ্য এক্সেস করা যায়।

ইন্টারনেটে থাকা ডুকমেন্ট এর ধরণ হলো ওয়েব পেজ (Web Page) এবং ওয়েব পেজ তৈরির প্রচলিত ভাষা হলো HTML (Hyper Text Markup Language)। যে প্রটোকলের মাধ্যমে একটি ওয়েব ব্রাউজার ইন্টারনেটে থাকা তথ্য দেখতে পারে তার নাম HTTP (Hypertext Transfer Protocol). 

ওয়েব এপ্লিকেশন (Web Application)

ওয়েব এপ্লিকেশন হলো এক ধরণের এপ্লিকেশন প্রোগ্রাম যা রিমোট সার্ভারে রাখা হয় এবং ওয়েবের মাধ্যমে ব্রাউজার বা অন্য মাধ্যমে প্রদর্শন করানো যায়।

ওয়েব এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ

Client ও Server

ওয়েব জগতে তথ্য সংরক্ষণ করা হয় যেখানে তাকে বলা হয় সার্ভার। সার্ভার থেকে তথ্যের জন্য রিকোয়েস্ট করা হলে সেটা দেখা যায়। মূলত তথ্য যেখানে থাকে সেটা হলো সার্ভার এবং যে তথ্য দেখে সে হলো Client.

প্রটোকল (Protocol)

প্রটোকল (Protocol) হলো একগুচ্ছ নিয়ম যা কোন একটা ওয়েব সার্ভারে থাকা তথ্য কিভাবে উপস্থাপন/পরিচালনা হবে তা নির্দেশ করে। কোন সার্ভারে থাকা তথ্যসমূহ কিভাবে একজন ব্যবহারকারী বা একজন মডারেটর বা এডমিনের নিকট প্রদর্শিত হবে সেটাই হলো প্রটোকল।

এইচটিটিপি রিকোয়েস্ট (HTTP Request)

একটা ক্লায়েন্ট যখন তার প্রয়োজনে সার্ভার থেকে তথ্য এক্সেস করতে চায় সেটাকে বলা হয় এইচটিটিপি রিকোয়েস্ট। 

রেসপন্স মেসেজ (Response Message)

কোন ক্লায়েন্ট যখন তথ্য জানতে চায় সেটা করে HTTP Request এর মাধ্যমে। আর সার্ভার যখন তার পরিপ্রেক্ষিতে জবাব দেয় সেটাকে বলা হয় Response Message.

CGI

CGI হলো কম্পিউটার জেনারেটেড ইন্টারফেস (Computer Generated Interface) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ওয়েব সার্ভার যখন কোন এপ্লিকেশন বা ডাটাবেজের কাছে ডাটা পাস (Data Pass) করার জন্য অনুরোধ করে তখন CGI এর মাধ্যমে সেই কাজ করে। এটা সার্ভার এবং ডাটাবেজের যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করে।

Logging

Logging হলো একটি নির্দিষ্ট সিস্টেমে প্রবেশের প্রক্রিয়া। লগিং বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। যেমন: ইউজার লগিন, এডমিন লগিন। কিছু ক্ষেত্রে লগিনের জন্য সাথে পাসওয়ার্ডও প্রয়োজন হতে পারে।

এক্সেস কন্ট্রোল (Access Control)

এক্সেস কন্ট্রোল (Access Control) হলো সিকিউরিটির সেই অংশ যেখানে উল্লেখ থাকে একটি সিস্টেমে কোন ধরণের ব্যবহারকারী বা ইউজার কোন ধরণের তথ্য কি পরিমাণে এক্সেস করতে পারবে।

এইচটিএমএল (HTML)

HTML এর অর্থ হলো Hyper Text Markup Language. এটি ওয়েবের একটি ভাষা যার মাধ্যমে ওয়েব ব্রাউজারে তথ্য প্রদর্শন করা হয়। এটি ওয়েবের সব থেকে বেশি প্রচলিত ভাষার মধ্যে অন্যতম।

xHTML

ওয়েবে যে সকল ভাষা প্রদর্শিত হয় তার মধ্যে রয়েছে HTML, XML, xHTML ইত্যাদি। xHTML অথবা Extensible HTML হলো HTML এর একটি বর্ধিত সংস্করণ যেখানে XML ও HTML এর মিশ্রণ রয়েছে এবং এখানে নিয়মগুলো আরও বেশি নিয়ন্ত্রিত বা Strict.

সিএসএস (CSS)

CSS এর পূর্ণাঙ্গ রুপ হলো Cascading Style Sheet. HTML ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের মার্কআপ করা হয় আর CSS ব্যবহার করে Styling করা হয়।

জাভাস্ক্রিপ্ট (JavaScript)

JavaScript হলো এক প্রকার Scripting Language যার সাহায্যে। আধুনিক ওয়েব এর অন্যতম প্রধান উপাদান হলো জাভাস্ক্রিপ্ট। বর্তমানে প্রায় শতভাগ ওয়েবসাইটে জাভাস্ক্রিপ্ট ভাষা ব্যবহার করা হয়। উদাহরণ: বিভিন্ন ধরণের স্লাইডার, মেনু আইটেম, ইমেজ গ্যালারি ইত্যাদি।

W3C Standard

W3C হলো WWWC. এর পূর্নাঙ্গ রুপ হলো World Wide Web Consortium. মূলত সম্পূর্ণ ওয়েব জগতকে নিয়ন্ত্রণ করে এই সংস্থা। Standard এর বাংলা অর্থ হলো মানদন্ড।

মূলত W3C Standard হলো ওয়েব টেকনোলজি কেমন হবে তার মানদন্ড প্রদান করে যেটা মেনে ওয়েব এপ্লিকেশন তৈরি করা হয়। স্ট্যান্ডার্ডসমূহ হলো: 

  • ওয়েব ডিজাইন এন্ড এপ্লিকেশনস (Web Design and Applications)
  • ওয়েব অফ ডিভাইসেস (Web of Devices)
  • ওয়েব আর্কিটেকচার (Web Architecture)
  • সিমানটিক ওয়েব (Semantic Web)
  • এক্সএমএল টেকনোলজি (XML Technology)
  • ওয়েব অফ সার্ভিসেস (Web of Services)
  • ব্রাউজারস এন্ড অথরিং টুলস (Browsers and Authoring Tools)

প্যাটার্ণ (Pattern)

Patter হলো একটা ইউজার ইন্টারফেস বা সংক্ষেপে UI তৈরি করার গাইডলাইন। UI তৈরির সমস্যাগুলো দূর করার জন্য এটা ব্যবহার করা হয়। এরূপ কিছু প্যাটার্ন হলো:

  • গ্রিড লেআউট
  • মেনু
  • পুল টু রিফ্রেশ
  • উইজার্ড
  • রেসপনসিভ ডিজাইন

সার্ভিস লোকেটর প্যাটার্ণ (Service Locator Pattern)

Java প্রেগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে JNDI (Java Naming and Directory Interface) Lookup এর মাধ্যমে service locate করা অথবা তার স্থান নির্দেশ করার সময় যে প্যাটার্ন ব্যবহার করা হয় তাকে সার্ভিস লোকেটর প্যাটার্ণ (Service Locator Pattern) বলে।

ডাটা এক্সেস অবজেক্ট প্যাটার্ণ (Data Access Object Pattern (DAO))

API access করে Low Level Data সনাক্ত করার জন্য ডাটা এক্সেস অবজেক্ট প্যাটার্ণ Data Access Object Pattern (DAO) ব্যবহার করা হয়। DAO এর বিভিন্ন অংশ:

  • Data Access Object Interface
  • Data Access Object concrete class
  • Model Object or Value Object

পারসিসটেন্ট কমিউনিকেশন (Persistent Communication)

কোন একটি message তার প্রেরকের (sender) থেকে প্রাপক (receiver) পর্যন্ত কোন মাধ্যমে যায় এবং পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট মেসেজিং এর জন্য বারবার চেষ্টা করে সেটাকে বলা হয় Persistent Communication. Persistent এর বাংলা অর্থ হলো অবিরাম।

উদাহরণ: Email

ওয়েব এপ্লিকেশন সিকিউরিটি (Web Application Security)

Web Application Security হলো কোন ওয়েব এপ্লিকেশনে বা তার সার্ভারে এটাক (attack) বা আক্রমণ হলে সে কিভাবে তা থামানোর চেষ্টা করবে এবং আক্রমণ হয়ে গেলে কেমন ব্যবহার (behave) করবে তার প্রক্রিয়া। ইন্টারনেট বেসড থ্রেট বা আক্রমণ এর জন্য এটাকে প্রস্তুত করা হয়।

পলিসি (Policy)

ওয়েব সাইটের পলিসি বা নীতিমালা বলতে বোঝায় কোন একটি ওয়েব সাইট অথবা ওয়েব এপ্লিকেশন কিভাবে তার ব্যবহারকারীর তথ্য নিয়ে কাজ করবে অথবা কিভাবে তার সেবা প্রদান করবে। এটা অঞ্চলভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।

নেটওয়ার্ক লেভেল সিকিউরিটি (Network Level Security)

একটি নেটওয়ার্কের ইনফ্রাস্ট্রাকচারকে অননুমোদিত ব্যবহারকারী অথবা অননুমোদিত ব্যবহারকারীর এক্সেস করার চেষ্টাকে, চুরি বা অন্য কোন আক্রমণ থেকে রক্ষা করা।


এসএসএল (SSL)

SSL এর পূর্ণরূপ হলো Secured Socket Layer. একটি নেটওয়ার্কের মধ্যে অবস্থিত কম্পিউটারসমূহ কিভাবে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করবে তার প্রটোকল হলো SSL. এটি Transport Layer Security (TLS) এর অংশ।

Facebook Comments