নেটওয়ার্কিং Networking | শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত | পর্ব ৯.১

By | March 23, 2023

ইউনিট ৯: নেটওয়ার্কিং অধ্যায়ের আজকের পর্বে আপনাদের সকলকে স্বাগতম। এটি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন এর কম্পিউটার সাইন্স বিষয়ের লিখিত ৯ম অধ্যায়ের ১ম অংশ। এক নজরে এই অংশের সিলেবাসটা দেখে নেয়া যাক

নেটওয়ার্কিং Networking NTRCA ICT Written CH 9.1 iSudip

নেটওয়ার্কিং (নেটওয়ার্ক এর ধারণা)

তথ্য আদান প্রদান করার জন্য দুই বা ততোধিক কম্পিউটার বা ডিভাইসের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা হলে তাকে নেটওয়ার্ক বলা হয়। নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার এবং ইনফরমেশন রিসোর্স শেয়ার করা যায়।

উদাহরণ: এক রুমে দুই বা ততোধিক রুমমেট এর কম্পিউটার, ছোট মাঝারি বা বড় সাইজের কোম্পানি, ইন্টারনেট।

Network Structure / Network Topology নেটওয়ার্ক টপোলজি কী?

একটি নেটওয়ার্কের physical device সমূহ যেভাবে নেটওয়ার্কে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাকে তাকে বলা হয় topology. নেটওয়ার্ক topology ৬ প্রকার:

  • BUS
  • RING
  • STAR
  • TREE
  • HYBRID
  • MESH

নিম্নে এদের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হলো:

i) BUS: যে topology এর মাধ্যমে নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে একটি মূল তারের সাথে সবগুলো workstation সংযুক্ত থাকে তাকে BUS topology বলে। মূল ক্যাবলটিকে বলা হয় backbone. সিগনাল চলাকালীন সময়ে শুধু প্রাপক বা রিসিভার সিগনাল গ্রহণ করে। ছোট নেটওয়ার্কে এটি সহজ, সাশ্রয়ী এবং বিশ্বস্ত। কোন একটি workstation নষ্ট হলে সম্পূর্ণ সিস্টেম নষ্ট হয় না।

BUS এর সুবিধাসমূহ:

  • আকারে ছোট এবং সাশ্রয়ী
  • রিপিটার ব্যবহার করে backbone বাড়ানো যায়
  • একটি workstation নষ্ট হলে সম্পূর্ণ সিস্টেম নষ্ট হয় না।

BUS এর অসুবিধাসমূহ:

  • Workstation বেশি হলে transmission বিঘ্নিত হয়
  • গতি কম
  • মূল cable এ সমস্যা হলে system অচল হয়ে যায়

ii) RING: RING topology তে প্রতিটি কম্পিউটার পার্শ্ববর্তী কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত থাকে। এভাবে সর্বশেষ কম্পিউটারটি প্রথমটির সাথে যুক্ত থাকে। এই topology তে কোন ডাটা পাঠালে তা বৃত্তাকার পথে ঘুরতে থাকে। এতে কোন কেন্দ্রীয় কম্পিউটার থাকে না।

Fig: ring topology

RING এর সুবিধাসমূহ:

  • সার্ভারের প্রয়োজন হয় না
  • প্রতিটি স্টেশনের গুরুত্ব সমান
  • কম্পিউটারের সংখ্যা বাড়লে সমস্যা হয় না

RING এর অসুবিধাসমূহ:

  • একটি স্টেশন আক্রান্ত হলে নেটওয়ার্ক অচল হয়ে যায়
  • সমস্যা নিরুপন জটিল

iii) STAR: যে topology তে একটি কেন্দ্রীয় host station এর সাথে অন্যান্য স্টেশন যুক্ত করে network তৈরি করা হয় তাকে star topology বলে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় কম্পিউটারের মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান করা হয়ে থাকে। কেন্দ্রীয় স্টেশন ব্যতীত অন্য কোন কম্পিউটার নষ্ট হলে নেটওয়ার্কে প্রভাব পড়ে না।

Fig: star topology

STAR এর সুবিধাসমূহ:

  • নেটওয়ার্কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে নতুন স্টেশন সংযোগ করা যায়
  • একটি স্টেশন নষ্ট হলে নেটওয়ার্কে প্রভাব পড়ে না
  • একই নেটওয়ার্কে বিভিন্ন cable ব্যবহার করা যায়

STAR এর অসুবিধাসমূহ:

  • কেন্দ্রীয় স্টেশনে সমস্যা হলে নেটওয়ার্ক অচল হয়ে যায়
  • ব্যয়বহুল

iv) TREE: যে topology তে স্টেশনসমূহ পরস্পরের সাথে গাছের শাখা প্রশাখার মতো বিন্যস্ত থাকে তাকে TREE topology বলে। এই topology তে এক বা একাধিক ডিভাইস হোস্ট এর সাথে যুক্ত থাকে। একইভাবে ২য় স্তরের ডিভাইসের সাথে ৩য় স্তরের হোস্ট যুক্ত থাকে।

Fig: tree topology

TREE এর সুবিধাসমূহ:

  • অফিস ব্যবস্থাপনায় খুবই উপযোগী
  • নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ সহজ
  • নোড সংযোগ বা বাদ দিলে নেটওয়ার্কের অসুবিধা হয় না

TREE এর অসুবিধাসমূহ:

  • কিছুটা জটিল প্রকৃতির
  • সার্ভারে ত্রুটি হলে নেটওয়ার্ক অচল হয়ে যায়।

v) HYBRID: BUS, STAR, RING ইত্যাদির সমন্বয়ে গঠিত নেটওয়ার্ক কে HYBRID topology বলে। যেমন: ইন্টারনেট।

Fig: hybrid topology

HYBRID এর সুবিধাসমূহ:

  • প্রয়োজন অনুযায়ী নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করা যায়
  • সমস্যা নিরুপন সহজ
  • এক অংশ নষ্ট হলে network ক্ষতিগ্রস্থ হয় না

HYBRID এর অসুবিধাসমূহ:

  • হাবসমূহ সর্বদা সচল রাখতে হয়

vi) MESH topology: যে নেটওয়ার্কে সকল ডিভাইসের সাথে অন্যান্য সকল ডিভাইসের সম্পর্ক থাকে তাকে MESH topology বলে।

Fig: mesh topology

MESH এর সুবিধাসমূহ:

  • কমিউনিকেশন নিশ্চয়তা অধিক
  • সমস্যা সহজে সমাধান করা যায়

MESH এর অসুবিধাসমূহ:

  • Installation ও configuration জটিল
  • খরচ বেশি

নেটওয়ার্ক সফটওয়্যার (Network Software) কী?

নেটওয়ার্ক সফটওয়্যার (Network software) হলো এমন এক ধরণের software যার সাহায্যে কোন কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ডিজাইন, বাস্তবায়ন, অপারেট ও মনিটরিং করা যায়। বর্তমানে আধুনিক নেটওয়ার্কিং এর ক্ষেত্রে এটি বহুল ব্যবহৃত একটি টেকনোলজি। এর মাধ্যমে 

  • সহজে নেটওয়ার্ক সেটাপ ও ইনস্টল করা যায়
  • সহজে নেটওয়ার্ক থেকে ইউজার সংযোজন বা বিয়োজন করা যায়
  • ডাটা স্টোরেজ এর লোকেশন ও ব্যবহারকারীকে access দেওয়া যায়
  • Data breach, unauthorized access এবং বিভিন্ন আক্রমন থেকে database কে সংরক্ষণ করা যায়
  • নেটওয়ার্ক virtualization করা যায়

Software defined network এ তিনটি লেয়ার থাকে

  1. Application layer
  2. Control layer
  3. Infrastructure layer

TCP/IP কী?

Transmission control protocol/internet protocol এর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো tcp/ip. এটি অনেক আগেই develop করা হলেও এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে বিগত কয়েক বছরে। এই communication protocol টি ইন্টারনেটের উপর ভিত্তি করে ব্যবহার করা হয়।

বর্তমানে প্রচলিত বেশিরভাগ নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম এটি সমর্থন করে। OSI model এর transport layer এবং ip network লেয়ারে এটি কাজ করে।

X.25 protocol কী?

X.25 হলো ITU-T দ্বারা নির্ধারিত একটি protocol যা  WAN (Wide Area Network) এ ব্যবহৃত হয়। এটি ৭০ দশকে ডিজাইন করা হয় এবং ৮০ দশকে জনপ্রিয়তা পায়। বর্তমানে এটি ATM card verification এ ব্যবহৃত হয়। এই প্রটোকল একাধিক logical channel কে একটি physical line এ ব্যবহার করে। এর ৩টি লেয়ার আছে।

  1. Physical layer
  2. Data link layer
  3. Packet layer

Frame Relay কী?

নেটওয়ার্কিং এর ক্ষেত্রে Protocol Overhead কমিয়ে দ্রুত গতির প্যাকেট সুইচিং নিশ্চিত করার জন্য যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তাকে Frame Relay বলে। Wide Area Network (WAN) এর জন্য এটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। Packet switching মেথডলজি ব্যবহার করে ডিজিটাল কমিউনিকেশন এ physical এবং data link layer বর্ণনা করা Frame Relay এর কাজ।

ATM Network কী?

এটিএম (ATM) এর অর্থ হলো Asynchronous Transfer Mode. এটি একটি switching technique যা time division multiplexing (TDM) ব্যবহার করে data communication করে। ATM network ভয়েস, ভিডিও ও ডাটা কমিউনিকেশন সমর্থন করে। একটি ATM cell এর সাইজ ৫৩ বাইট (হেডার ৫ বাইট + পেলোড ৪৮ বাইট)। ATM Network এর বৈশিষ্ট্যসমূহ:

  • ডায়নামিক ব্যান্ডউইডথ প্রদান করে
  • Data transmission simple
  • Mixed traffic efficiently handle করে

ATM Reference model এর লেয়ার:

  1. Physical layer
  2. ATM layer
  3. ATM adaptation layer
  4. ATM endpoints
  5. ATM switch

ট্রান্সমিশন মিডিয়া (Transmission Media) কী?

যে মাধ্যম ব্যবহার করে একস্থান থেকে অন্যস্থানে ডাটা বা তথ্য আদান প্রদান করা হয় তাকে transmission media বলে। উদাহরণ: Coaxial cable, Twisted pair cable ও fiber optic cable.

i) Coaxial cable: একে সংক্ষেপে coax বলে। এই cable এর মাঝখানে একটি তামার তার থাকে। এর বাইরে থাকে ফোম ইনসুলিন এবং তার বাইরে থাকে সলিড পরিবাহী। এই কেবল ২ প্রকার:

  • Thick net
  • Thin net

Fig: coaxial cable

Coaxial cable এর বৈশিষ্ট্যসমূহ:

  • Installation সহজ
  • Data transmission speed 20 mbps, দুরত্ব 1km

ii)Twisted pair cable: twisted pari এর অর্থ হলো জোড়া করে প্যাচানো তার। বর্তমানে টেলিফোন সিস্টেমে এই তার ব্যবহৃত হয়। এই তার দুই প্রকার:

  • Shielded twisted pair (STP)
  • Unshielded twisted pair (UTP)

Fig: twisted pair cable

Twisted pair cable এর বৈশিষ্ট্যসমূহ:

  • Coaxial এর তুলনায় দামি
  • নড়াচড়া সুবিধাজনক
  • Installation সহজ
  • Data transmission speed 500 mbps

iii) Fiber optic cable: Fiber optic এর কেন্দ্রের তারটি প্লাস্টিক সিলিকা বা কাঁচের তৈরি। এটা আলোর মাধ্যমে data আদান প্রদান করে।

Fiber optic cable এর বৈশিষ্ট্যসমূহ:

  • উচ্চ গতিসম্পন্ন
  • Analogue ও digital উভয় ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়
  • Noise কম

Communication Devices

HUB কী?

হাব (HUB) হলো মাল্টিপোর্ট বাফার রেজিস্টার সিস্টেম। এর মাধ্যমে সার্ভার একাধিক workstation এর তথ্য বা ডাটা গ্রহণ ও প্রেরণ করে থাকে। হাব বিভিন্ন পোর্টের হয়ে থাকে যেমন, ৮, ১২, ১৬ পোর্ট ইত্যাদি।

Modem কী?

Modem হলো modulator – demodulator এর সংক্ষিপ্ত রূপ। অর্থাৎ যে ডিভাইস analogue সংকেতকে digital সংকেতে (modulation) এবং digital সংকেতকে analogue সংকেতে (demodulation) রূপান্তর করে তাকে modem বলা হয়। Modem দুই প্রকার:

  • Internal 
  • External

Router

রাউটার এক ধরণের কমিউনিকেশন ডিভাইস যা নির্ধারণ করে ডাটা বা ডাটা প্যাকেট কিভাবে একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাবে।

Switch

একই নেটওয়ার্কের মধ্যে বিভিন্ন ডিভাইসকে সংযুক্ত করার কাজে সুইচ ব্যবহার করা হয়। কোন নেটওয়ার্কিং সেটাপে ওয়ার্কস্টেশন বা ডিভাইস বেশি থাকলে তখন সুইচ প্রয়োজন হয়। যেমন: অফিসের কম্পিউটারসমূহ।

Repeater

রিপিটার এমন এক ধরণের ডিভাইস যা তার প্রাপ্য সিগনালকে সাধারণ দুরত্বের চেয়ে অধিক দুরত্বে সিগনাল পাঠায়।

Synchronous and Asynchronous communication

সিনক্রোনাস কমিউনিকেশন

যে সকল communication বা যোগাযোগ রিয়েল টাইমে (Real Time) হয় তাদেরকে বলা হয় সিনক্রোনাস কমিউনিকেশন। যেমন: যে কোন ধরণের IM (instant messaging) মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, অনলাইন মাল্টিপ্লেয়ার গেম

এসিনক্রোনাস কমিউনিকেশন

যে সকল কমিউনিকেশনে তৎক্ষনাৎ যোগাযোগ প্রয়োজন নেই তাদেরকে বলা হয় এসিনক্রোনাস কমিউনিকেশন। এটা সিনক্রোনাস কমিউনিকেশনের বিপরীত। যেমন: ইমেইল, অনলাইন ফর্ম সাবমিশন, চাকরির আবেদন।

Transmission Band

ট্রান্সমিশন ব্যান্ড হলো যোগাযোগ বা কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে রেডিও ফ্রিকুয়েন্সির সীমানা। যেমন: কনস্ট্রাকশনের কাজে বা পুলিশের যোগাযোগের ক্ষেত্রে ওয়াকিটকি।

মূলত তিন প্রকার।

  • Low (Very Low, Low – As low as 3 Khz)
  • Medium
  • High (High, Very High, Ultra High, Super High, Extreme High- up to 300 Ghz

নেটওয়ার্কিং এর স্লাইডশো

Facebook Comments