কম্পিউটার অফিস এপ্লিকেশন ১ বিএমটি সমাধান ২০২৩

By | February 12, 2024

কম্পিউটার অফিস এপ্লিকেশন ১ হচ্ছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন বিএমটি বা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এন্ড টেকনোলজি বিভাগের একটি আইসিটি বিষয়ক সাবজেক্ট। জেনারেলে যেমন আইসিটি সাবজেক্ট রয়েছে কম্পিউটার অফিস এপ্লিকেশন ১ বিএমটি সেকশনের হচ্ছে মূল আইসিটি সাবজেক্ট অর্থাৎ আপনি যেই ট্রেডেরই হন না কেন এই সাবজেক্ট পড়তেই হবে।

কম্পিউটার অফিস এপ্লিকেশন ১ এর বিগত সালের প্রশ্নগুলো দেখলে দেখা যায় যে পূর্বের সালের প্রশ্নগুলো সমাধান করলে আগামী যেই ইয়ার ফাইনাল রয়েছে সেখানে ভালো করার সুযোগ আছে এই। কথা চিন্তা করে আমি কম্পিউটার অফিস এপ্লিকেশন ১ বিএমটি সমাধান ২০২৩ করছি। এই বিষয়টি মূলত একটি ইউটিউব ভিডিও রয়েছে। ইউটিউব ভিডিওতে এটার স্লাইড দেয়া আছে এবং এই পোস্টের মাধ্যমে সম্পূর্ণ উত্তর দেওয়া থাকবে। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে আমরা উত্তর দেখা শুরু করি।

 প্রশ্নের সমাধান করার জন্য আমি যে বইটি ব্যবহার করছি সেটি হচ্ছে অক্ষর প্রকাশনীর কম্পিউটার অফিস এপ্লিকেশন ১ বিএমটি সমাধান ২০২৩। বইটির লেখক ডঃ ইঞ্জিনিয়ার শান্তি রঞ্জন সরকার স্যার এবং এ জেড এম আসাদুজ্জামান স্যার। কম্পিউটার অফিস এপ্লিকেশন ১ বিএমটি পরীক্ষায় ক ও খ বিভাগের আটটি করে মোট ১৬ টি প্রশ্ন থাকবে পূর্ণমান ৩০ এবং প্রতিটি বিভাগ থেকে পাঁচটি করে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।

শিক্ষক নিবন্ধন বিষয়ক পোস্ট দেখতে ক্লিক করুন। 

  ২০২৩ সালের প্রশ্ন

কম্পিউটার-অফিস-অ্যাপ্লিকেশন-১-বিএমটি-সমাধান-২০২৩ এর প্রশ্ন
কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন ১ বিএমটি সমাধান ২০২৩

ক বিভাগ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

১। কম্পিউটার বলতে কি বোঝায়?

ইংরেজি শব্দ Compute থেকে Computer শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে। Compute কথাটির অর্থ গণনা করা। কম্পিউটার কথার অর্থ যে গণনা করে। অক্সফোর্ড ডিকশনারি অনুসারে, কম্পিউটার হল হিসাব-নিকাশ করা অথবা অন্য কোন যন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করার ইলেকট্রনিক যন্ত্র যা তথ্য সংরক্ষণ বিশ্লেষণ এবং উৎপাদন করে। কম্পিউটার একটি মাইক্রো ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস। বর্তমানে কম্পিউটারের গণনা ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং মাইক্রো ইলেকট্রনিক্স বিকাশের ফলে আইসিটি মুঠোর মধ্যে এসেছে যার মূল উপাদান হিসেবে রয়েছে কম্পিউটার। কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র যা তার মেমোরিতে সংরক্ষিত থাকা নির্দেশের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়, যা ডেটা গ্রহণ করে তাকে সুনির্দিষ্ট নিয়মে প্রক্রিয়াকরণ করে ফলাফল তৈরি করে ও ভবিষ্যতে এই ফলাফল ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করে। বাংলাদেশ কপিরাইট আইনে কম্পিউটারের সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে এভাবে, ”কম্পিউটার অর্থে মেকানিক্যাল ইলেকট্রন মেকানিক্যাল ইলেকট্রনিক ম্যাগনেটিক ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ডিজিটাল বা অপটিক্যাল বা অন্য কোন পদ্ধতির ইম্পালস ব্যবহার করিয়া লজিক্যাল বা গাণিতিক যে কোন একটি বা সকল কাজকর্ম সম্পাদন করে এমন তথ্য প্রক্রিয়াকরণ যন্ত্র বা সিস্টেম।”

২। পূর্ণনাম:    CPU Central Processing Unit

OMR Optical Mark Reader

MICR Magnetic Ink Character Reader

LED Light Emitting Diode

৩। প্রাইমারি মেমোরি বা প্রধান মেমোরি কী? উদাহরণ দাও

       প্রাইমারি মেমোরি (Primary Memory): যে মেমোরির সঙ্গে প্রসেসরের অন্তর্গত এরিথমেটিক লজিক ইউনিটের (ALU) প্রত্যক্ষ এক্সেস থাকে তাকে প্রধান মেমোরি বা প্রাইমারি মেমরি বলে। বর্তমানে কম্পিউটারের মেমোরি বলতে এই প্রধান মেমোরি কেই বোঝানো হয়। দ্রুত গতিতে হিসাব করতে সক্ষম এএলইউ (ALU) এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ এক্সেস থাকায় প্রধান মেমোরি কেউ দ্রুত গতি সম্পন্ন হতে হয়, এছাড়া ALU যখন হিসাব করে তার জন্য প্রয়োজনীয় ডেটা ও নির্দেশ সেকেন্ডারি স্টোরেজ থেকে এনে সাময়িকভাবে এই মেমোরিতে রাখা হয়। হিসাব শেষ হওয়ার পর তাদের আবার সেকেন্ডারি স্টোরেজে সংরক্ষণ করা হয়। প্রাইমারি মেমোরির এক্সেস সময় সাধারণত ন্যানো সেকেন্ড বা তার চেয়েও কম সময়। প্রধান মেমোরির উদাহরণ RAM, ROM, DRAM, SRAM, MROM, PROM ইত্যাদি।

৪। চারটি অপারেটিং সিস্টেমের নাম লেখো।

       ৪টি অপারেটিং সিস্টেমের নাম: উইন্ডোজ, ম্যাক ওএস, লিনাক্স, ফেডোরা

৫। পাইরেসি কী?

পাইরেসি: সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে কোন সফটওয়্যার বা অন্য কোন ডাটা যদি তার মালিকের অনুমতি না নিয়ে বেআইনিভাবে বাজারজাত করা হয় তাহলে সেটাকে বলা হয় পাইরেসি। ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে খুব সহজেই মিউজিক এবং মুভির মত ক্রিয়েটিভ কাজ খুব সহজেই কপি করে শেয়ার করা যায়। পিয়ার টু পিয়ার ফাইল শেয়ারিং সিস্টেম এর মাধ্যমে খুব সহজেই বিনামূল্যে বিনিময় হয়। ব্রডব্যান্ডের কল্যাণে বর্তমানে ভিডিও ফাইল অবাধে বিনিময় হচ্ছে মিউজিক ও ভিডিওর পাশাপাশি বিশাল বিশাল সফটওয়্যার ও এখন এভাবে পাওয়া যাচ্ছে ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নৈতিক এবং আইনগত দিক দিয়ে পাইরেসি অবৈধ।

৬। পাওয়ারপয়েন্ট কী?

পাওয়ারপয়েন্ট (Powerpoint): প্রেজেন্টেশন তৈরি ও প্রদর্শনের জন্য মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের একটি চমৎকার সফটওয়্যার হচ্ছে পাওয়ারপয়েন্ট। সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম সহ বিভিন্ন প্রকার কর্মশালা ইত্যাদিতে কম্পিউটারের সাহায্যে সহজ বোধগম্য আকর্ষণীয় ও কার্যকর ভাবে তথ্য উপস্থাপনের জন্য পাওয়ার পয়েন্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। পাওয়ার পয়েন্ট হচ্ছে এমন একটা প্রফেশনাল প্যাকেজ সফটওয়্যার যা যেকোন রকমের প্রফেশনাল মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে সাহায্য করে। মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্টের পাশাপাশি গুগল স্লাইড ব্যবহার করেও বিনামূল্যে পাওয়ারপয়েন্ট এর কাজ করা যায়।

৭। স্ক্যানারের কাজ বর্ণনা করো।

স্ক্যানারের কাজ: সাধারণত ক্যামেরায় তোলা কাগজে মুদ্রিত ছবি স্ক্যানারের সাহায্যে কম্পিউটারে প্রেরণ করা যায় স্ক্যানারের সাহায্যে। স্ক্যানার হলো এক প্রকার ইনপুর ডিভাইস। কম্পিউটারের ছবি গ্রহণ এবং কম্পিউটারের ছবির সম্পাদনার জন্য প্রোগ্রাম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অপটিক্যাল স্ক্যানার আলোক রশ্মি এবং আলোক সংবেদনশীল যন্ত্রের সাহায্যে ফটো ইমপেক্ট তৈরি করে অপটিক্যাল স্ক্যানার গুলো ভিন্ন ভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। যেমন: কম্পিউটারে ইনপুট ওসিআর এবং ওএমআর ইত্যাদি। স্ক্যানারের সাহায্যে কোন ছবি বা লেখাকে স্ক্যান করা হলে তাকে সফট কপি বলা হয়।

৮। কয়েকটি ভিডিও কনফারেন্সিং নির্ভর ডিজিটাল কমিউনিকেশন পদ্ধতির নাম লেখো।

নিম্নে কয়েকটি ভিডিও কনফারেন্সিং নির্ভর ডিজিটাল কমিউনিকেশন পদ্ধতির নাম দেয়া হলো:

  • টেলিকনফারেন্সিং
  • ভিডিও কনফারেন্সিং
  • ইন্টারনেট
  • মাল্টিমিডিয়া
  • জুম
  • হোয়াটসঅ্যাপ

খ বিভাগ রচনামূলক

কম্পিউটার অফিস এপ্লিকেশন ১ বিএমটি সমাধান ২০২৩ এর রচনামূলক অংশ নিচে দেয়া হলো:

৯। কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ: বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার গুলোকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন প্রয়োগ ক্ষেত্রের উপর ভিত্তি করে কাজের ধরন ও প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তিতে এবং আকার আকৃতি ও ক্ষমতার ভিত্তিতে।

কম্পিউটারের প্রকারভেদ

কম্পিউটার

  • প্রয়োগ ক্ষেত্রের কম্পিউটার
    • সাধারণ কম্পিউটার
    • বিশেষ কম্পিউটার
  • কাজের ধরন ও প্রকৃতি ভিত্তিতে কম্পিউটার
    • অ্যানালগ কম্পিউটার
    • ডিজিটাল কম্পিউটার
      • মাইক্রোকম্পিউটার
      • মিনি কম্পিউটার
      • মেইনফ্রেম কম্পিউটার
      • সুপার কম্পিউটার
    • হাইব্রিড কম্পিউটার

১০। কম্পিউটারের সংগঠন ব্লক চিত্রের মাধ্যমে দেখাও।

আধুনিক কম্পিউটারের প্রধান সংগঠনিক অংশগুলো হল ইনপুট ইউনিট, সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট, আউটপুট ইউনিট। নিম্নে কম্পিউটারের সংগঠন চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হলো

কম্পিউটার সংগঠন
কম্পিউটার সংগঠন

ইনপুট ইউনিট: যে ডিভাইসের মাধ্যমে ডাটা ও নির্দেশ কম্পিউটারে প্রবেশ করানো হয় তাকে ইনপুট ইউনিট বলে। এই ইউনিটে বিশেষ মাধ্যম হতে ডেটা ও প্রোগ্রাম গ্রহণ করে বৈদ্যুতিক তরঙ্গের রূপান্তরের পর কম্পিউটারের মেমোরিতে সংরক্ষণ করে। কয়েকটি ইনপুট যন্ত্রপাতির নাম হলো: মাউস, কিবোর্ড, স্ক্যানার ইত্যাদি।

সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বা কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশ: সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একে কম্পিউটারের মস্তিষ্ক বলা হয়। এরিথমেটিক লজিক ইউনিট, কন্ট্রোল ইউনিট ও মেমোরি ইউনিটকে একত্রে সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বলে। কম্পিউটারের প্রধান চালিকা শক্তি কম্পিউটারের ইনপুট ডিভাইস সমূহ নির্দেশ ও ডাটা গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশে প্রেরণ করে। কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশ প্রাপ্ত লেটার নির্দেশ অনুসারে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফলাফল প্রস্তুত করে আউটপুট ডিভাইস সমূহে প্রেরণ করে। 

আউটপুট ইউনিট: কম্পিউটারে প্রদত্ত তথ্যাবলী মাইক্রোপ্রসেসরে প্রক্রিয়াকরণের পরে যে সকল যন্ত্র বা ডিভাইস ফলাফল প্রকাশ করে সেগুলোই হচ্ছে আউটপুট ইউনিট। কয়েকটি আউটপুট ডিভাইসের নাম উল্লেখ করা হলো। যেমন, মনিটর, প্রিন্টার, স্পিকার।

১১। হার্ডডিস্কের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো কী কী?

হার্ডডিস্ক: ১৯৮০ সালের দিকে হার্ডডিস্ক ব্যবহার প্রচলন শুরু হয়। হার্ডডিস্ক হলো পাতলা গোলাকার ধাতব পাতের সমন্বয়ে গঠিত সহায়ক স্মৃতি। কম্পিউটারের তথ্যাবলী সংরক্ষণের জন্য এটি একটি নির্ভরযোগ্য স্টোরেজ ডিভাইস। নিম্নে হার্ডডিস্ক এর সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ দেয়া হলো:

হার্ডডিস্কের সুবিধা সমূহ:

  • এর ধারণ ক্ষমতা অনেক বেশি
  • এটি মজবুত বা টেকসই
  • এটি কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারে সুরক্ষিত অবস্থায় থাকে তাই নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম
  • এটি একটি দ্রুত গতি সম্পন্ন তথ্য সংরক্ষণ মাধ্যম

হার্ডডিস্ক এর অসুবিধা সমূহ

  • এটি অত্যন্ত দামি
  • এটি একবার নষ্ট হলে মেরামত করা যায় না
  • এটি ফ্লপি ডিস্কের মত যখন তখন ড্রাইভ হতে খোলা যায় না
  • নতুন প্রশিক্ষনার্থী না বুঝে ফরম্যাট এবং ডিলিট কমেন্ট দিয়ে হার্ডডিস্ক এর ফাইল সহজে মুছে ফেলতে পারে

১২। ক্লাউড স্টোরেজ কী? এর সুবিধা বর্ণনা করো।

ক্লাউড স্টোরেজ হলো অনলাইন স্টোরেজ। এটি এমন একটি অনলাইন সার্ভিস যার মাধ্যমে অনলাইনের অসংখ্য ব্যবহারকারী তাদের সুবিশাল তথ্যভাণ্ডার দীর্ঘদিন ব্যবহার ও সংরক্ষণ করতে পারে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ক্লাউড স্টোরেজ সার্ভিসে একাউন্ট তৈরি করে সেই স্টোরেজের মধ্যে ফাইল সংরক্ষণ করা যায়।

ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহারের সুবিধা সমূহ:

  • ক্লাউড স্টোরেজ একটি অনলাইন ভিত্তিক সার্ভিস
  • যে কোন জায়গা থেকে সেবা গ্রহণ করা যায়
  • ডিভাইস ব্যবহারের প্রয়োজন হচ্ছে না শুধু ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই হবে
  • প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো ব্যাকআপ হিসাবে সংরক্ষণ করতে ক্লাউড স্টোর এর সার্ভিস ব্যবহার করা যায়
  • ক্লাউড স্টোরিজ কোম্পানিগুলো ডেটার আরেকটি কপি ব্যাকআপ হিসেবে রেখে দেয় কোন কারণে হার্ডডিস্ক নষ্ট হলে পুনরায় ফেরত দিতে পারে
  • ফাইলগুলো শেয়ার করা যায়
  • যদি কোন গোপনীয় ফাইল থাকে তাহলে সেগুলো সুরক্ষিতভাবে রাখা যায়
  • ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করলে নতুন করে মেমোরি কার্ড কেনার দরকার হয় না
  • নির্দিষ্ট ফোল্ডারের ভেতর নির্দিষ্ট ডকুমেন্টস ও ফাইলগুলো সংরক্ষণ করা যায়
  • ব্যবহার করা খুবই সহজ
  • অ্যাকাউন্ট লগইন করে যে কোন ডিভাইস থেকে ব্যবহার করা যায়
  • খরচ খুবই কম
  • ফাইলের সিকিউরিটি বেশি থাকে ডিলিট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে

১৩। সিস্টেম সফটওয়্যার ও অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর মধ্যে পার্থক্য লেখো।

সিস্টেম সফটওয়্যারঅ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার
কম্পিউটার হার্ডওয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং এপ্লিকেশন প্রোগ্রাম গুলো কার্যকর রাখার জন্য প্রোগ্রাম সমূহ কে সিস্টেম সফটওয়্যার বলেকোন সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবহৃত প্রোগ্রামকে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলে
সিস্টেম সফটওয়্যার কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেঅ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার ব্যবহারকারী ও কম্পিউটারের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে
সিস্টেম সফটওয়্যার ছয় প্রকারএপ্লিকেশন সফটওয়্যার দুই প্রকার
সিস্টেম সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার তৈরি করতে সাহায্য করেএপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর সাহায্য নিয়ে সিস্টেম সফটওয়্যার তৈরি হয়েছে
সিস্টেম সফটওয়্যার কম্পিউটার পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেঅ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় কাজগুলো করে থাকেন
সিস্টেম সফটওয়্যার ও অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর মধ্যে পার্থক্য

১৪। ওয়ার্ড প্রোসেসিং এর মৌলিক কার্যাবলি বর্ণনা করো।

ওয়ার্ড প্রসেসিং এর মৌলিক কার্যাবলী: ওয়ার্ড প্রসেসর একটি কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন যা মূলত টাইপ সেটিং বা লেখার কাজ ব্যবহার করা হয়। আরো নির্দিষ্ট ভাবে বলতে গেলে কোন ডকুমেন্ট প্রস্তুত, সম্পাদনা, ফরমেটিং, সংরক্ষণ, কপি তৈরি, মুদ্রণ ইত্যাদি কাজে ওয়ার্ড প্রসেসর ব্যবহার করা হয়। এগুলোই হচ্ছে ওয়ার্ড প্রসেসরের মৌলিক কাজ।

ডকুমেন্ট প্রস্তুত: ডকুমেন্ট প্রস্তুত হচ্ছে কোন ডকুমেন্ট তৈরি করা। অর্থাৎ কোন একটা ডকুমেন্ট ব্যবহার উপযোগী করার জন্য প্রথমে সেটা তৈরি করার ধাপ।

সম্পাদনা: উক্ত ডকুমেন্টে কি কি বিষয়ে উপস্থাপন করা হবে কোন কোন লেখা ছবি বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যুক্ত করতে হবে সেগুলো হচ্ছে সম্পাদনার অংশ। প্রথমে একবার কাজ করে পরবর্তীতে সেটা ভুল সংশোধন বা সংযোজন বিয়োজন করার জন্য সম্পাদন (Edit) করার প্রয়োজন হয়।

ফরমেটিং: ফরমেটিং হচ্ছে একটা ডকুমেন্ট কিভাবে থাকবে সেটি নির্ণয় করা। ফরমেটিং বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। একটি ডকুমেন্টের প্রথম পেজের ফরমেটিং যেমন হবে ভেতরের পেজগুলোর ফরমেটিং ঠিক তেমনটি নাও হতে পারে। যদি আমরা একটি বইয়ের কথা চিন্তা করি তাহলে বইয়ের যেই ফ্রন্ট পেজ বাজি কাভার পেজটা থাকবে সেখানকার ফরমেটিং তার ভেতরের সূচিপত্র বা প্রত্যেকটা বিষয়ের নিয়ে যেই বিশদ বর্ণনা সেই প্রত্যেকটি পেইজ এর ফরমেটিং এক হবে না। এগুলো বিভিন্ন রকম হবে অর্থাৎ কাভার পেজে সংক্ষিপ্ত আকারে ছোট্ট কিছু অংশ থাকবে এরপরে সূচিপত্রের মধ্যে থাকবে শুধুমাত্র অধ্যায়গুলোর নাম এবং পৃষ্ঠা নাম্বার এবং ভেতরের পেজগুলোতে থাকবে লেখা বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং তার বর্ণনা। অর্থাৎ এক একটি পেজের জন্য ফরমেটিং এক এক রকমের হয়ে থাকে।

সংরক্ষণ: একটি ফাইলকে বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন উপায়ে বিভিন্নভাবে সংরক্ষণ করা হতে পারে। কোন একটি ডকুমেন্ট যদি আমি প্রিন্ট করার জন্য তৈরি করি তাহলে সেটি আমি যেভাবে সংরক্ষণ করব এই একই জিনিস ইমেইল করতে গেলে হয়তোবা ওইভাবে সংরক্ষণ করা হবে না। সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রেও ওয়ার্ড প্রসেসারে বিভিন্ন ধরনের ফরমেট আছে। ইমেইলের জন্য আলাদা ফরমেট, পিডিএফ এর জন্য আলাদা ফরমেট, পড়ার জন্য তৈরি করতে হলে আলাদা ফরমেট অথবা ওয়েবসাইটে প্রকাশের জন্য আলাদা ফরমেটে সংরক্ষণ করা যায়।

কপি: একটি ডকুমেন্ট অনেক ক্ষেত্রে কপি করার প্রয়োজন রয়েছে যেমন কোন একটি লেখা যদি বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করা হয় তখন সেটি কপি করে ব্যবহার করা যায়। একই লেখা বারবার না লিখে।

মুছে ফেলা/ডিলিট: কোন একটি ডকুমেন্ট যদি পরবর্তীতে কখনো কোন প্রয়োজনে ব্যবহার না করা লাগে অথবা সেটি যদি সংবেদনশীল হয় তাহলে সেটি মুছে ফেলার ব্যবস্থা রয়েছে। এতে করে ডকুমেন্ট প্রয়োজনে ব্যবহার করে ব্যবহার শেষে সেটিকে মুছে ফেলাও ওয়ার্ড প্রসেসিং এর মৌলিক কার্যাবলীর মধ্যে একটি।

১৫। ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস ইনপুট ডিভাইস বলতে কী বোঝায়?

ইনপুট ডিভাইস (Input Device): যে সকল ডিভাইস ব্যবহার করে ব্যবহারকারী অথবা ইউজারের কাছ থেকে তথ্য প্রক্রিয়াকরণ বা প্রসেসিং এর জন্য যেই ডাটা সংরক্ষণ করা হয় বা যে সকল ডিভাইসের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয় তাকে ইনপুট ডিভাইস বলে। কম্পিউটারে তথ্য প্রক্রিয়াকরণের কাজে ডেটা প্রদানে নিয়োজিত হার্ডওয়ার সমই হল ইনপুট ডিভাইস। কম্পিউটার সিস্টেমে বিভিন্ন ধরনের ইনপুট ডিভাইস ব্যবহার করা হয়। যেমন কিবোর্ড, মাউস, জয়স্টিক, টাচ স্ক্রিন, স্ক্যানার ইত্যাদি।

আউটপুট ডিভাইস (Output Device): কম্পিউটারের ফলাফল প্রদর্শনের কাজে বিভিন্ন ধরনের এই সকল হারডার আউটপুট ডিভাইস নামে পরিচিত। অর্থাৎ যে সকল ডিভাইস সমূহের মাধ্যমে ফলাফল প্রদর্শন করে সেগুলোকে আউটপুট ডিভাইস বলা হয়। কয়েকটি আউটপুট ডিভাইস হলো: মনিটর, প্রিন্টার, স্পিকার, প্রোজেক্টর ইত্যাদি।

১৬। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুফল ও কুফল বর্ণনা করো।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করার ফলে বর্তমানে পৃথিবীটা হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। আমরা একই জায়গায় বসে সারা পৃথিবীর তথ্য দেখতে পাচ্ছি। এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যেমন সুফল রয়েছে এর কুফলও রয়েছে অনেক। নিম্নে সেগুলো বর্ণনা করা হলো:

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুফল: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করার ফলে ঘরে বসেই সব জায়গার তথ্য নেয়া যায়। সারা বিশ্বে কি ঘটছে এটা ঘরে বসেই সেই খবর পাওয়া যায় দূর দূরান্তে আত্মীয়-স্বজন বা প্রিয়জনের সাথে যোগাযোগ বা কথোপকথন করা যায় এর মাধ্যমে মতামত প্রকাশ করা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিচ্ছিন্ন প্রবীণ নাগরিকদের নিঃসঙ্গতা হ্রাস করতে ব্যবহার করা হয় সামাজিক মিডিয়া সংকট জনিত সময়ে জনস্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা তথ্যের দুটো প্রসারণের অনুমতি দেয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কুফল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচুর ভুয়া বা গুজব ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীল ছবি বা মন্তব্য প্রকাশ করা হয়। অসত্য তথ্য প্রদান করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক প্রকারের আসক্তির মতো।

তরুণ প্রজন্ম এটির নেতিবাচক ব্যবহার করার ফলে বড় ক্ষতি সাধন করে থাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ফলে গোপনীয় তথ্য প্রকাশিত হয়ে যেতে পারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আসক্ত হয়ে গেলে এটিতে প্রচুর সময় অপচয় হয়। অতিরিক্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ফলে ব্যক্তিত্ব এবং মস্তিষ্কের ব্যাধি এইচডি এবং ব্যক্তিত্ব বিশেষত যুব সমাজের বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।

এটা ছিলো কম্পিউটার অফিস এপ্লিকেশন ১ বিএমটি সমাধান ২০২৩। যদি আরও এই বিষয়ে পোস্ট এবং ভিডিও পেতে চান তাহলে ফেসবুক পেজ অথবা iSudip ইউটিউব চ্যানেলে কমেন্ট করতে পারেন।

Facebook Comments